Advertisement
Advertisement

রাজ্যের ব্যাঙ্কে এসেছে ১৩২৪ কোটি টাকা: রিজার্ভ ব্যাঙ্ক

৯ লক্ষ ৫০০ টাকার নোট পাঠিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক৷

RBI hikes cash supply by 4 times, banks still cash-starved
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:December 1, 2016 9:28 am
  • Updated:December 1, 2016 1:48 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুরনো পাঁচশো ও এক হাজার টাকার নোট বাতিলের পর আজ, বৃহস্পতিবারই প্রথম মাস পয়লা৷ সাধারণ মানুষ ব্যাঙ্কে টাকা পেতে পারবেন কি না, সেটাই বড় প্রশ্ন৷ বেশিরভাগ চাকরিজীবীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বেতনের টাকা ঢুকবে৷ খুচরো নগদের এই সংকটের ক্ষেত্রে প্রত্যেকেই চাইবেন, দ্রুত টাকা বাড়িতে নিয়ে যেতে৷ স্বাভাবিকভাবেই ব্যাঙ্কে ও এটিএমে লাইন পড়বে৷ কিন্তু সাধারণ মানুষের অর্জিত টাকা পেতে দুর্ভোগে পড়তে হবে না তো? সূত্রের খবর, মাস পয়লার বেতনের ধাক্কা সামলাতে এ রাজ্যের ব্যাঙ্কগুলিতে ১৩২৪ কোটি টাকা পাঠিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া৷ ব্যাঙ্ক বা এটিএমের সামনে লাইন কমাতে অতিরিক্ত ৫০০ টাকার নতুন নোট পাঠানো হয়েছে৷ সূত্রের খবর, নয় লক্ষ ৫০০ টাকার নোট পাঠিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক৷ সংবাদসংস্থা সূত্রে খবর, বেতনের ধাক্কা সামলাতে আরবিআই টাকার জোগান বাড়িয়েছে প্রায় চারগুণ৷ স্টেট ব্যাঙ্ক প্রতিদিন ৬ হাজার কোটি টাকার নোট ছাড়ছে বাজারে৷ আজ থেকে তা আরও বাড়বে৷

রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, বেতন পেতে যাতে কারও সমস্যা না হয়, তার জন্য পর্যাপ্ত নগদের ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ সাত তারিখ পর্যন্ত পর্যাপ্ত জোগান থাকবে ব্যাঙ্কে৷ একটি সূত্রে খবর, বুধবারের আগেই রাজ্যের ব্যাঙ্কে প্রায় ৭৮০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে৷ রাজ্যে দুই হাজার ও একশো টাকার নোটের ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে৷ দুই হাজার টাকার নোটের সামগ্রিক মূল্য হচ্ছে পাঁচশো কোটি টাকা৷ এছাড়া একশো টাকার নোটের মোট মূল্য ২৮০ কোটি টাকা৷ যেহেতু মাসের শুরুতেই ‘স্যালারি অ্যাকাউন্টে’ টাকা ঢুকবে, তাই সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কগুলিতে টাকা জোগানের ঘাটতি রাখতে চাইছে না কেন্দ্র৷ শুধু কেন্দ্রের সরকারি কর্মীই ৫০ লক্ষ, পেনশনভোগী আরও ৫৮ লক্ষ৷ যে কোনও মাসেই প্রথম সপ্তাহে এটিএম বা ব্যাঙ্কে সব থেকে বেশি ভিড় থাকে৷ সমীক্ষা বলছে, প্রথম সপ্তাহের ভিড় মাসের বাকি তিন সপ্তাহের মোট ভিড়ের কাছাকাছি৷ প্রতিটি ব্যাঙ্কিং সংস্থাই এই অবস্থায় আরবিআইয়ের কাছে ‘এসওএস’ করে টাকা চেয়েছে৷ স্টেট ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, নোট বাতিল ঘোষণার পর থেকে অর্থাত্‍ ৯ নভেম্বর থেকে প্রতিদিন ছ’হাজার কোটি টাকা ব্যাঙ্কে দেওয়া হচ্ছে, এর মধ্যে ১৮০০-২০০০ কোটি টাকা মিলছে এটিএম থেকে৷ মাসের শুরুতে পরিস্থিতি মোকাবিলায় তাঁরা প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন এসবিআই-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর রজনীশ কুমার৷

Advertisement

কিন্তু শুধু আশ্বাসে চিঁড়ে ভিজবে না৷ ব্যাঙ্কে দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়ানোর পরও খালি হাতে বাড়ি ফিরলে অসন্তোষ তৈরি হবেই৷ খুচরোর বদলে দুই হাজার টাকার নোট বেশি দিলেও চাপা ক্ষোভ হবে৷ এটিএম ঠিকভাবে চলছে কি না দেখা দরকার৷ যে কোনও খারাপ পরিস্থিতিতে কর্মীদের নিরাপত্তা চেয়ে আগেভাগেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানিয়েছে বিভিন্ন ব্যাঙ্ক ইউনিয়ন৷ তাই অবস্থা বুঝে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক খুচরো নগদের সমস্যা মেটাতে পাঁচশো টাকার নোট ছাপায় জোর দিয়েছে৷ সূত্রের খবর, সব টাঁকশালে আপাতত পাঁচশো টাকার নোট ছাপানো হচ্ছে৷ যদিও বৃহস্পতিবার সকালেও দেখা গিয়েছে, বহু এটিএম বন্ধ, কোথাও সিস্টেম বদল বা টাকা ভরার কাজ করা হয়েছে৷ ধর্মতলা, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ, শিয়ালদহ, হাওড়া- যেখানেই এটিএম খোলা দেখেছেন সাধারণ মানুষ, সেখানেই লম্বা লাইন চোখে পড়েছে৷ টাকা তোলার ক্ষেত্রে যদিও বিধিনিষেধ বা নির্দিষ্ট গণ্ডি রাখা রয়েছে৷ এটিএমে টাকা তোলা যাবে একদিনে সর্বোচ্চ আড়াই হাজার টাকা৷ ব্যাঙ্কে গিয়ে অবশ্য পর্যাপ্ত টাকার জোগান থাকলে সাপ্তাহিক ২৪ হাজার টাকাও তোলা যেতে পারে৷ এখন প্রশ্ন, ব্যাঙ্কে চাহিদার চাপে কত টাকা হাতে পেতে পারবেন কোনও সাধারণ মানুষ? এক থেকে সাত ডিসেম্বর তাই কেন্দ্রীয় সরকার তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘অ্যাসিড টেস্ট’, বলছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement