রাজ কুমার, আলিপুরদুয়ার: হলং কাণ্ডের নেপথ্যে ইঁদুর! শর্টসার্কিটের তদন্তে উঠে আসছে এমনই তত্ত্ব। যা ভাবাচ্ছে তদন্তকারী দলকেও।
ব্যাপারটা ঠিক কী? শর্টসার্কিট হবে কীভাবে? এই প্রশ্নের উত্তরে উঠে আসছে ইঁদুরের গল্প। সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, হলং বাংলোতে ইদুরের সমস্যা নতুন নয়। এই বাংলোর রান্না ঘরে রীতিমতো ফাঁদ পেতে ইঁদুর ধরে তা মারেন বনকর্মীরা। কারণ, ইঁদুর মারতে বনআইনে কোনও বাধা নেই। ২০২৩ সালে এই বাংলোতে রাজ্যের উচ্চপদস্থ এক কর্তার ব্যাগও কেটে দিয়েছিল ইঁদুর। ১৫ জুন থেকে হলং বাংলোর রুম বন্ধ ছিল। ফলে বন্ধ ঘরে ইঁদুরের দৌরাত্ম্য যে বেড়েছিল তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। ইঁদুর বিদ্যুতের তার কাটার কারণেই শর্ট সার্কিটের ঘটনা ঘটেছে কিনা সেটাই এখন প্রশ্ন। যদিও এই বিষয়টি নিয়ে ছয় সদস্যের তদন্তকারী দলের প্রধান রাজ্যের প্রধান মুখ্য বনপাল দেবল রায় বলেন, “বাংলোর সব সুইচ বোর্ড, এম সি বি সব পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। ফলে এই মুহুর্তে ইদুরের তার কাটার কারণেই শর্ট সার্কিট হল কিনা তা বলা সম্ভব নয়।”
প্রসঙ্গত, এই অগ্নিকাণ্ডের পিছনে ‘ডালমে কুছ কালা হ্যায়’ বলে মন্তব্য করেন আলিপুরদুয়ারের সাংসদ মনোজ টিগ্গা। এদিন তিনি পরিস্থিতি দেখতে হলং বন বাংলোর ধ্বসংসাবশেষ দেখতে যেতে চান। কিন্তু বনদপ্তর তাকে বনের ভেতরে ঢুকতে যেতে দেননি। বনাঞ্চল বন্ধ, এই যুক্তিতে মনোজকে ভিতরে ঢুকতে দেয়নি বন দপ্তর। ক্ষোভে মনোজ টিগগা বলেন, “বনদপ্তরের গাড়ির পর গাড়ি বনে ঢুকছে। দমকল, পুলিশ ঢুকছে। তদন্তকারীরাও লাগাতার হলঙ্গে ঢুকছে। একমাত্র সাংবাদিক ও আমায় বনআইন! এর থেকেই বোঝা যায় ডাল মে কুছ কালা হ্যায়। আমার আশঙ্কা হলংয়ে বেসরকারি হাতে তুলে দিতেই কি কিছু করা হয়েছে?”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.