পলাশ পাত্র, তেহট্ট: দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে রথযাত্রা উৎসব। বৃহস্পতিবার ইসকনে রথযাত্রার উদ্বোধন করলেন রাজ্যের নিরাপত্তা উপদেষ্টা সুরজিৎ করপুরকায়স্থ। ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক নন্দ সাহা-সহ অন্যান্যরা। এদিন বিকেলে রাজাপুর থেকে ইসকনের চন্দ্রোদয় মন্দিরে পৌঁছে গিয়েছেন জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রা। রথের রশিতে টান দিয়ে জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রাকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন অসংখ্য ভক্ত।
মায়াপুরের মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরেই রাজাপুরের জগন্নাথ দেবের মন্দির। জানা গিয়েছে, শুভ শক্তির সূচনার জন্য জগন্নাথ দেবকে ওড়িশা থেকে শবর জাতির মানুষজন তাঁকে রাজাপুরে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। তারপর বেশ কয়েকদিন বন্ধ ছিল জগন্নাথের আরাধনা৷ পরবর্তীকালে ফটিকচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তির হাত ধরে ফের পুজো চালু হয়৷ ১৯৭৯ সালে ইসকন মন্দির কর্তৃপক্ষ রাজাপুরের জগন্নাথের দায়িত্ব নেয়। সেই থেকে শুরু হয় পুজো। এরপর যতদিন গড়িয়েছে জাঁকজমক বেড়েছে জগন্নাথের আরাধনায়। এবছর রথের আগে ১৭ জুন মায়াপুরে ইসকনে অনুষ্ঠিত হয় জগন্নাথের স্নানযাত্রা। কথিত আছে, স্নানযাত্রার পর জগন্নাথ দেব জ্বরে কাবু হয়ে গৃহবন্দি হয়ে পড়েন। রথের আগে ভক্তরা আর জগন্নাথ দেবের দর্শন পান না। ফলে এই কয়েকটা দিন পূজিতও হন না তিনি।
স্নানযাত্রা উপলক্ষে এবছরও কয়েকদিন আগে থেকেই ভিড় শুরু হয়েছে মায়াপুরে। সেই জমায়েত অব্যাহত রয়েছে বৃহস্পতিবারও। এদিন সকাল থেকেই ইসকনের মন্দির থেকে শুরু করে গোটা মায়াপুরে শুধু দেখা গেল দেশি-বিদেশি ভক্তদের। বিকেলে কম্বল মুড়ি দিয়ে গৃহবন্দি জগন্নাথ রাজবেশে রাজরথে চেপে রাজাপুর থেকে পৌঁছালেন মাসির বাড়িতে, ইসকনের চন্দ্রোদয় মন্দিরে। উলটো রথে তিনি আবার ফিরে যাবেন রাজাপুরে। মাঝের এই ৭ দিন ইসকনে আয়োজিত হবে বিভিন্ন অনুষ্ঠান। তবে শুধু ইসকনই নয়, নবদ্বীপের বিভিন্ন পাড়া-মোড়ে খুদেদের দেখা যায় রথের রশি হাতে। শুক্রবারই রথযাত্রার সূচনা হয়ে গিয়েছে নবদ্বীপে। কৃষ্ণনগরেও এদিন রথের রশিতে টান পড়ে। রথ দেখতে ভিড় জমান প্রচুর মানুষ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.