ছবি: প্রতীকী
ধীমান রায়, কাটোয়া: বিচারকের রায় শোনার পর আদালত থেকে পালিয়ে গেল ধর্ষণে অভিযুক্ত আসামি। পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া মহকুমা আদালতে জোর চাঞ্চল্য। অভিযুক্তের খোঁজে চলছে জোর তল্লাশি। তার বাবাকে আপাতত জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
ধর্ষণে অভিযুক্ত পলাতক আসামি জিতেন মাঝি, কেতুগ্রামের ছোট পুরুল গ্রামের দাসপাড়ার বাসিন্দা। ২০১০ সালের এপ্রিল মাসে সে এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। নাবালিকার পরিবারের তরফে কেতুগ্রাম থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার হয় জিতেন। মাসদেড়েক জেলও খাটতে হয় তাকে। যদিও পরে জামিনে মুক্তি পায় সে।
তবে ধর্ষণের মামলার শুনানি চলছিল। গত বছরের নভেম্বরে এই মামলার শেষ শুনানি হয়। শুক্রবার কাটোয়া মহকুমা আদালতের অতিরিক্ত দায়রা বিচারক সুকুমার সূত্রধরের এজলাসে চূড়ান্ত শুনানি চলছিল। বিচারক তাকে দোষী সাব্যস্ত করে। বিচারক জানান, অভিযুক্তের সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন। আর তা না হলে কমপক্ষে ১০ বছর জেলবন্দি থাকতে হবে। কথোপকথন চলার মাঝে আচমকা সকলের চোখে ধুলো দিয়ে এজলাস ছেড়ে পালিয়ে যায় সে।
বাজারের মাঝে আদালত। জনবহুল এলাকায় হাজার চেষ্টা করেও আসামির খোঁজ পায়নি পুলিশ। তার খোঁজে গোটা এলাকাজুড়ে চলছে জোর তল্লাশি। জিতেনের বাবা বিজয় মাঝিকে জেরা করছে পুলিশ। আসামির আইনজীবী নির্মল মণ্ডল বলেন, “বিচারক বলেছিলেন ওর সর্বোচ্চ সাজা হতে পারে যাবজ্জীবন। তা না হলে কমপক্ষে ১০ বছর জেলবন্দি থাকতে হবে। দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর তাকে আদালতের লকআপে রাখা হয়। সেখান থেকে কীভাবে পালাল জানি না।” আপাতত এই ঘটনা নিয়ে সরগরম গোটা কাটোয়া।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.