সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গেরুয়া শিবিরে প্রার্থী কি কম পড়িয়াছে? দফায় দফায় দিল্লিতে বৈঠকের পর কোথাও পুরনো মুখে ভরসা, কোথাও সাংসদদের লড়াইয়ের ময়দানে ফের ঠেলে দেওয়া, কোথাও আবার তৃণমূলত্যাগীদের টিকিট দেওয়া। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের (WB Assembly Election) আগে বিজেপির (BJP) প্রার্থী তালিকা নিয়ে টানাপোড়েন, ধারাবাহিক ঘটনা পরম্পরার পর আরও চমক। রবিবার তৃতীয় ও চতুর্থ দফার তালিকা প্রকাশের পর হাওড়া দক্ষিণের বিজেপি প্রার্থী রন্তিদেব সেনগুপ্ত বেঁকে বসেন। জানালেন, তিনি প্রার্থী হতে চান না, চান দলের হয়ে প্রচার করতে।
উনিশের লোকসভা নির্বাচনেও হাওড়া থেকে গেরুয়া শিবিরের হয়ে লড়েছিলেন প্রাক্তন সাংবাদিক রন্তিদেব সেনগুপ্ত। জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসীও ছিলেন। কিন্তু তৃণমূল প্রার্থী, প্রাক্তন ফুটবলার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে হেরে যান। নানা মহলে সমালোচিতও হন। এরপর একুশের লড়াইয়েও পদ্মশিবির তাঁকেই সৈনিক করেছে। হাওড়া দক্ষিণ কেন্দ্র থেকে নামানো হচ্ছে তাঁকে। তবে নির্বাচনী লড়াইয়ে আর তেমন আগ্রহ নেই রন্তিদেবের। তিনি জানালেন, ”জানলাম যে প্রার্থী তালিকায় আমার নাম আছে। তবে কোনও কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হতে চাই না। দলের হয়ে প্রচার করতে চাই।” তবে কি উনিশের হারের ব্যথা এখনও ভুলতে পারেননি? তাই নির্বাচনী লড়াই থেকে পিছিয়ে যাচ্ছেন? এসব প্রশ্ন উসকে উঠতেই অবশ্য চাপে পড়ে মতবদল করেন রন্তিদেব সেনগুপ্ত। জানান যে দলের সিদ্ধান্ত মেনে নিচ্ছেন।
এদিকে, আলিপুরদুয়ার জেলায় বিজেপির প্রার্থী নিয়ে ইতিমধ্যেই তুমুল ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। আলিপুরদুয়ার জেলা বিজেপির সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা জানিয়েছেন, তাঁর অনুমতি না নিয়েই আলিপুরদুয়ার ও কালচিনি বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী ঠিক করেছে দল। দু’দিন আগে বিজেপিতে যোগ দেওয়া বিশাল লামাকে কালচিনি বিধানসভার প্রার্থী করা হয়েছে বলেও ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা। আলিপুরদুয়ার বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী অশোক লাহিড়ীকে তিনি চেনেন না বলেও জানিয়েছেন। প্রার্থী ঘোষণার পর জেলার কার্যালয় ছেড়ে বেরিয়ে যান বিজেপি সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.