ফাইল ছবি
নন্দন দত্ত, সিউড়ি: দলে যোগ দেওয়া কর্মীদের সঙ্গে লাঠি-বাঁশ-ঢিল রাখার পরামর্শ দিলেন বিজেপির জেলা সভাপতি রামকৃষ্ণ রায়। মঙ্গলবার রামপুরহাট এক নম্বর ব্লকের সইপুরে সিপিএমের যুব নেতা সহ ৫০০ কর্মী বিজেপিতে যোগ দেয়। সিপিএম থেকে যোগ দেওয়া দলের নেতা কমল খান নিজেকে সিপিএমের এরিয়া কমিটির সম্পাদক বলে দাবি করেছেন। যদিও সিপিএমের জেলা সম্পাদক মনসা হাঁসদা বলেন, “কমল খান বলে আমাদের দলে এরিয়া কমিটির কোনও নেতা নেই। তবুও খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে।” তবে রামকৃষ্ণবাবুর জনসভা নিয়ে ‘দলে যোগদানকারীদের হাতে বাঁশ লাঠি তোলার আগে ক্ষমতা থাকলে তিনি নিজে একবার তুলে দেখুন’ বলে হুমকি দেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তিনি জানান, বুড়ো বয়সে ভীমরতি ধরেছে বিজেপি নেতার।
[ আরও পড়ুন: পুরুলিয়ায় বিজেপি সমর্থক দম্পতিকে মারধর, অভিযুক্ত তৃণমূল ]
রামপুরহাট মহকুমার সংখ্যালঘু ভোটে লোকসভায় পিছিয়ে ছিল বিজেপি। কারণ সংখ্যালঘুরা বিজেপির থেকে মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এবার সংখ্যালঘুদের দলে টানতে নানা পরিকল্পনা নিয়েছে সংগঠন। তারই অঙ্গ হিসাবে মঙ্গলবার সংখ্যালঘু নেতাদের বিজেপির দলে ঢোকালেন। তাও সিপিএম থেকে। কিন্তু দলীয় কর্মীদের যোগদান অনুষ্ঠানে আপাত নিরীহ জেলা সভাপতি রামকৃষ্ণ রায় যেভাবে মুখ খুলছেন তাতে কর্মীরা উজ্জীবিত হচ্ছে। পাশাপাশি অনুব্রতর পালটা হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার নেতা হিসাবে নিজেকে তুলে ধরছেন। তাই এদিনের জনসভা থেকে কর্মীদের হাতে লাঠি তোলা প্রসঙ্গে রামকৃষ্ণবাবু বলেন, “আমি কর্মীদের বলেছি যেখানে একসঙ্গে থাকবেন, হাতে লাঠি রাখবেন, কারণ এখন পথে ঘাটে নানা জন্তু, পোকামাকড় বেরোচ্ছে। লাঠি বাঁশ ঢিল সঙ্গে থাকলে কর্মীরা আক্রমণ প্রতিহত করতে পারবে।”
তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে ওঠা রামকৃষ্ণকে বুড়ো বয়সে ভীমরতি বলে কটাক্ষ করেছেন অনুব্রত মণ্ডল। উত্তরে রামকৃষ্ণ রায় বলেন, “আমি বুড়ো হলেও আমার মাথায় অক্সিজেন কম যায় না। আর সমাজ থেকে যে অক্সিজেন যা পান অনুব্রতবাবু সেটাও এবার কেড়ে নেব আগামী কয়েক মাসে।”
[ আরও পড়ুন: শিকেয় সমুদ্র দর্শন, দ্বিগুণ ঘরভাড়া দিয়েও হোটেল মিলছে না দিঘায় ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.