ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: প্রত্যাশামতোই রাজ্যসভা নির্বাচনে জয় হাসিল করল তৃণমূল। পাঁচটি আসনের নির্বাচনে চারটিতে প্রার্থী দিয়েছিল রাজ্যের শাসকদল। অপর একটিতে কংগ্রেস প্রার্থী অভিষেক মনু সিংভিকেই সমর্থন জানিয়েছিল। প্রত্যাশামতো সবকটি আসনেই জয়লাভ করেছে তৃণমূল ও কংগ্রেস।
[ রাজ্যসভার ভোটে বড় ‘ভুল’, বিপাকে রাজ্যের মন্ত্রী জাকির হোসেন ]
জয় নিয়ে একরকম নিশ্চিন্তই চিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গণনা চলাকালীনই ভিকট্রি সাইন দেখান তিনি। আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে জানিয়ে দেন, পাঁচটি আসনেই জয় আসবে। বাস্তবে তাই-ই হল। যদিও জাকির হোসেন ও মৃগেন মাইতির ভোট বাতিল হয়। রাজ্যসভা নির্বাচন পশ্চিমবঙ্গের পাঁচটি আসনে তৃণমূলের চার প্রার্থী ছিলেন শুভাশিস চক্রবর্তী, আবির বিশ্বাস, নাদিমুল হক ও শান্তনু সেন। জয়ের জন্য ৪৯টি করে ভোট লাগলেও ৫০-এর অধিক ভোটে তৃণমূল প্রার্থীদের জয়যুক্ত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। তৃণমূল প্রার্থীদের জয়ের পর অতিরিক্ত ভোট কংগ্রেস প্রার্থী অভিষেক মনু সিংভিকে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছিলেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। জানা যাচ্ছে, শুভাশিস চক্রবর্তী সর্বোচ্চ ৫৪টি ভোট পেয়েছেন। শান্তনু সেন পান ৫১টি ভোট। আবির বিশ্বাস ও নাদিমুল হক ৫২টি করে ভোট পেয়েছেন । শুভাশিস চক্রবর্তীর ক্ষেত্রে দুটি ভোট কম ছিল। মুখ্যমন্ত্রী নিজের ভোটটি শুভাশিসকে দেন বলেও সূত্রের খবর। ভোটাভুটিতে ভ্রান্তি যাতে না হয় তার জন্য সব বিধায়ককে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তা সত্ত্বেও কিছু ভুল থেকে গিয়েছে। কিন্তু বড়সড় কোনও বিপর্যয় ঘটেনি। সহজেই জয় করায়ত্ত করেছে তৃণমূল।
এদিকে অপর আসনে তৃণমূল সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী অভিষেক মনু সিংভিও সহজ জয় হাশিল করেন। তিনি ৪৭টি ভোট পান। তবে এ যাত্রাতেও বামেদের কপালে শিকে ছিড়ল না। একমাত্র প্রার্থী হিসেবে পরাজিত হয়েছেন রবীন দেব। এই ফলাফলে আরও একবার যেন একরকম অপ্রাসঙ্গিক প্রতিপন্ন হল বামেরা। জয়ের পর পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সিংভি একে অপরের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ও করেছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.