অভ্রবরণ চট্টোপাধ্যায়, শিলিগুড়ি: ভারত সরকারের উচিত পাকিস্তানে আবার এয়ারস্ট্রাইক করা। জঙ্গিদের গুলিতে প্রাণ হারানো শহিদ সেনা জওয়ান ক্যাপ্টেন ব্রিজেশ থাপাকে সম্মান জানানোর পর এমনই মন্তব্য করলেন দার্জিলিয়ের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা। বুধবার শহিদ জওয়ানের দেহ আনা হয় বাগডোগরা বিমানবন্দরে। দেশের জন্য তাঁর আত্মবলিদানে শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও (Mamata Banerjee)।
বাগডোগরায় উপস্থিত ছিলেন ব্রিজেশের বাবা-মা ও পরিবার। সেখানেই গিয়েছিলেন স্থানীয় সাংসদ রাজু বিস্তা। জওয়ানের উদ্দেশে সম্মান জানানোর পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “খুব দুঃখজনক ঘটনা। মাত্র ২৭ বছর বয়সে দেশের জন্য প্রাণ দিলেন ব্রিজেশ। ওঁর মৃত্যুর জন্য দায়ী পাকিস্তান। বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের নাম বদলে ভারতে আক্রমণ করার চেষ্টা করে। পাকিস্তানের এখনও শুধরে যাওয়া উচিত। আমি মনে করি ভারত সরকারের উচিত পাকিস্তানে আরও একবার এয়ারস্ট্রাইক করা।”
সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবারে ডোডো জেলায় জঙ্গিদের আক্রমণে প্রাণ হারান ভারতীয় সেনার আধিকারিক ক্যাপ্টেন ব্রিজেশ। রাতেই দার্জিলিয়ের (Darjeeling) লেবংয়ের বাড়িতে সেই দুঃসংবাদ আসে। মঙ্গলবার দেহ বাড়িতে আসার কথা ছিল। কিন্তু কিছু পদ্ধতিগত কারণে তা সম্ভব হয়নি। বুধবার তাঁর দেহ এসে পৌঁছায় বাগডোগরায়। বৃহস্পতিবার দেহ নিয়ে যাওয়া হবে দার্জিলিংয়ে। ১৯ জুলাই সকাল ৮ টায় সেনাবাহিনী গান স্যালুট দিয়ে শেষকৃত্য সম্পূর্ণ করবে।
শহিদ জওয়ানের বাবা ভুবনেশ থাপা বলেন, “আমাদের পরিবারের সবাই দেশের সেবায় নিযুক্ত। আমার বাবা সেনা অফিসার ছিলেন। আমি সেনায় ছিলাম। ব্রিজেশও দেশের সেবায় নিযুক্ত ছিল। আমাদের রক্তেই দেশসেবা রয়েছে। ব্রিজেশের জন্য গর্ববোধ হচ্ছে।” পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বি. টেক. পাশ করার পর সেনায় যোগ দেন ব্রিজেশ। তার পর ধীরে ধীরে পদোন্নতি পেয়ে ক্যাপ্টেন হন। সম্প্রতি তাঁর পোস্টিং হয় জম্মু ও কাশ্মীরে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.