শেখর চন্দ্র, আসানসোল: প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ও রাজীব গান্ধীর মূর্তির বেদি উপড়ে ফেলাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা। বিজেপি দলীয় কার্যালয়ের সামনে থাকা মূর্তিগুলি উপড়ে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চরম উত্তেজনা ছড়ায় কুলটির সাঁকতরিয়া এলাকায়।
সাঁকতোড়িয়ার স্থানীয় বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন কাউন্সিলর অভিজিৎ আচার্যর দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে ইন্দিরা (Indira Gandhi) ও রাজীব গান্ধীর (Rajiv Gandhi) আবক্ষ মূর্তির বেদি ভেঙে, মূর্তি সরিয়ে ফেলার চেষ্টা করা হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে জোর রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। ঘটনার প্রতিবাদে স্থানীয় কংগ্রেসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে যান ও প্রতিবাদ জানান। দু’পক্ষের মধ্য়ে বিতর্ক বেঁধে যায়। অভিজিৎ আচার্যের কাছে তাঁরা জবাবদিহি চান, মূর্তি উপড়ে ফেলার কারণ কী? পরিস্থিতি সামাল দিতে ছুটে আসে পুলিশ।
যদিও বিজেপি নেতার দাবি, কংগ্রেস নেতাদের অনুমতি নিয়েই মূর্তি দুটি ওই এলাকা থেকে স্থানান্তর করা হচ্ছে। কুলটির কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি চণ্ডী চট্টোপাধ্যায় বলেন, “কোনও আলোচনা হয়নি। তাই জনসাধারণের কাছে ভুল বার্তা পৌঁছেছে। অনুমতি ছাড়াই দুই প্রধানমন্ত্রীর মূর্তি উপড়ে ফেলা ঠিক হয়নি।” তবে পরে অভিজিৎ আচার্য লিখিত ভাবে জানিয়েছেন জায়গাটির সংস্কার সাধনের মাধ্যমে মূর্তিগুলি পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হবে।
এবিষয়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতি নরেন চক্রবর্তী জানিয়েছেন, “মূর্তি প্রতিষ্ঠার অধিকার সকলের আছে। কিন্তু ভেঙে ফেলার অধিকার কারও নেই। তাছাড়া ইন্দিরা গান্ধী ও রাজীব গান্ধী দুজনেই ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ও ভারতরত্ন। আসলে বিজেপির এটাই সংস্কৃতি।” উল্লেখ্য, অভিজিৎ আচার্য রাজনৈতিক জীবনের প্রথমে কংগ্রেসের সদস্য ছিলেন। সেই সময় তিনি তার দলীয় কার্যালয়ের সামনে মূর্তিগুলি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। পরবর্তী ক্ষেত্রে তৃণমূল হয়ে বিজেপিতে যোগদান করেন।
এই বিষয় প্রাক্তন বিজেপি কাউন্সিলর তথা কুলটি বিজেপি কনভেনর অভিজিৎ আচার্যর দাবি কংগ্রেস নেতাদের সাথে আলোচনায় ও সহমতের প্রেক্ষিতেই তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কংগ্রেসের ওই নেতারাই না কি আপত্তি তুলেছিলেন বিজেপির দলীয় পতাকার নিচে ইন্দিরা ও রাজীব গান্ধীর মূর্তি শোভনীয় নয়। তাছাড়া এলাকাটি ও মূর্তিগুলির সংস্কারের প্রয়োজন রয়েছে। বিজেপি নেতার দাবি মূর্তিগুলি ভাঙা হয়নি। সেগুলি অন্যত্র সরিয়ে রাখা হয়েছে। সংস্কারের মাধ্যমে কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে সহমতে মূর্তিগুলি ওই স্থানে পুনস্থাপন করা হবে। উদ্দেশ্য যদি উপড়ে ফেলা বা ভেঙে ফেলা হতো তবে বুলডোজার চলতো। কিন্তু সাবধানে ফলক ও মূর্তি বাঁচিয়ে মাটি খনন করা হত না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.