সংগ্রাম সিংহরায়, শিলিগুড়ি: সাধারণ চায়ের সঙ্গে ভেষজ চা-পাতা মিশিয়ে নতুন দার্জিলিং চা উপহার দিতে চলেছেন মকাইবাড়ির রাজা। আক্ষরিক অর্থেই পৃথিবী বিখ্যাত মকাইবাড়ির প্রবাদপ্রতিম রাজা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভেষজ চা পাতার সঙ্গে পাহাড়ে অনাদরে গজিয়ে ওঠা ওষধি গাছ মিশিয়ে নতুন স্বাদ-গন্ধ এবং উপকারি চা মিলবে বলে দাবি তাঁর। পূর্বপুরুষের হাতে গড়া মকাইবাড়ি চা-এর মালিকানা ছেড়েছেন বছরখানেক আগেই। তবে তা বলে চায়ের সঙ্গে যে সম্পর্ক তা আর এ জন্মে মেটার নয়। সেই ভালবাসা থেকেই তিনি নতুন কিছু করার কথা ভেবেছিলেন। সেখান থেকেই ‘রিমপোচে’-এর সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধা শুরু। এই চা প্রস্তুতকারক সংস্থার হয়ে বিভিন্ন ছোট বড় চা-বাগানের পাতা নিয়ে তার সঙ্গে ভেষজ চা মিশিয়ে দার্জিলিং চায়ের নতুন ‘জনার’ প্রস্তুত করছেন।
[ভুটান সীমান্তে মানুষ সমান প্রাচীর! বন্যজন্তুদের নিয়ে চিন্তায় বনদপ্তর]
ইতিমধ্যেই ৩৩টি এরকম আলাদা চায়ের প্রকার তৈরি হয়ে গিয়েছে। যা দ্রুত বাজারে ছাড়া হবে। সেই সঙ্গে ছোট চা-বাগানগুলিকে একসঙ্গে নিয়ে তাদের চা-পাতাকে নিজেদের ব্র্যান্ডের মাধ্যমে সরাসরি বিপণনের ব্যবস্থা করা হবে। ইতিমধ্যেই ‘কমন ডিজিটাল প্লাটফর্ম’ তৈরির কথা বলা হয়েছে। তার মধ্যে আউটলেট করে তা ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। রাজা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “নতুন চা সকলের ভাল লাগবে, এমন করেই তৈরি করা হচ্ছে। ছোট-বড় সেরা বাগানগুলি থেকে চা পাতা সংগ্রহ করে তা মেশানো হচ্ছে।”
এর আগে কার্শিয়াংয়ের কাছে মকাইবাড়ির চায়ের ব্র্যান্ডে দীর্ঘ একশো বছরের কাছাকাছি রাজত্ব করার পর লক্ষ্মী গ্রুপের সঙ্গে অংশীদারিত্বে চলে যান। বেশিরভাগ শেয়ার ছেড়ে দিয়ে সামান্য কিছু নিজের কাছে রেখে দেন। পরবর্তীতে রাজাবাবুর অধীনে থাকা হেরিটেজ বাংলোটি আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। তার সঙ্গে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় একাধিক পুরনো স্মৃতি। এরপরই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন তিনি। এরপর থেকে মানসিক দূরত্বও তৈরি হয়। দীর্ঘ এক বছরের বেশি টানাপোড়েনের পর অবশিষ্ট শেয়ারও ছেড়ে দেন তিনি। পুরোপুরি মকাইবাড়ির মালিকানা থেকে অব্যাহতি নেন। কিন্তু দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা আর ছোট থেকেই চায়ের পরিবেশে বেড়ে ওঠায় তার প্রতি একটা আলাদা আকর্ষণ থেকেই নতুন ‘ভেঞ্চার’-এ মন দেন তিনি। রিমপোচে-এর ওষধি ভেষজ চা আগামিদিনে বিশ্বের দরবারে জায়গা করে নেবে বলে মনে করছেন চা বিশেষজ্ঞরা।
[‘পরমান্ন ভাইফোঁটা থালি’ প্যাকেজে মজে বর্ধমান]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.