স্টাফ রিপোর্টার: আরও দিন চারেকের অপেক্ষা৷ কেরলে বর্ষা ঢুকবে ৯-১০ জুন নাগাদ৷ আর এ রাজ্যের বাসিন্দাদের বর্ষার জন্য অপেক্ষা করতে হবে মোটামুটি ১৫ জুন অবধি৷ ১০ জুন থেকেই প্রাক বর্ষা ঢুকে পড়বে রাজ্যে৷ আবহাওয়া পর্যবেক্ষণে এমনই দাবি করছেন বিশেষজ্ঞদের৷ তার আগে অবধি বিক্ষিপ্তভাবে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টি চলবে৷ তবে তা প্রাক বর্ষা নয় বলেই মত৷ আগামী ৯ জুন অবধি স্থানীয়ভাবে সঞ্চার হওয়া মেঘের জেরেই হবে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি৷
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, প্রাক বর্ষা শুরু হওয়ার আগে অবধি দক্ষিণবঙ্গের তুলনায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির পরিমাণ বেশি হবে উত্তরবঙ্গে৷ ভারী থেকে অতি ভারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দাজিলিং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ারে৷ কারণ হিসাবে হিমালয়ের পাদদেশে একটি ঘূর্ণাবর্তের অবস্থানের জেরেই বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে উত্তরে৷ তবে অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূল থেকে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত ও উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে ওড়িশার দক্ষিণ উপকূল পর্যন্ত বায়ুমণ্ডলে উচ্চচাপ তৈরি হয়েছে যার জেরে দক্ষিণবঙ্গের দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, নদিয়া-সহ গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে আগামী ২৪ ঘণ্টায় বিক্ষিপ্ত বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে৷ একই সঙ্গে বজায় থাকবে মেঘলা আকাশ৷
আবহাওয়াবিদদের পর্যবেক্ষণ, দ্রূত সক্রিয় হতে শুরু করেছে লা নিনা৷ যার জেরে কেরল-সহ দেশের মূল ভূখণ্ডে প্রবেশ করবে বর্ষা৷ রাজ্যে আসবে চলতি মাসের মাঝামাঝিতে৷ ইতিমধ্যে দিল্লির মৌসমভবন জানিয়েছে, এ বছর স্বাভাবিক বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দেশে৷ তবে এই ভ্যাপসা গরমের হাত থেকে এখনই রেহাই মিলছে না দক্ষিণবঙ্গের বাসিন্দাদের৷ কারণ প্রাক বর্ষা শুরু না হওয়া পর্যন্ত সূর্যের সঙ্গে মেঘের এই লুকোচুরি চলবে৷ প্রচুর পরিমাণে জলীয়বাষ্প দক্ষিণবঙ্গের আকাশে ঢুকলেও তা অনেক সময় একত্রিত হতে পারছে না৷ ফলে আশা জাগিয়েও বৃষ্টি না-ও হতে পারে৷ ফলে এতেই অস্বস্তিসূচক গরম অনুভূত হবে৷ স্থানীয়ভাবে তৈরি বজ্রগর্ভ মেঘের কারণে যেখানে বৃষ্টি হবে সেখানেই কমবে তাপমাত্রা৷ এদিনও শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৩.৬ ডিগ্রি৷ যা স্বাভাবিকের তুলনায় এক ডিগ্রি কম৷ অন্যদিকে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৭.৫ যা আবার স্বাভাবিকের তুলনায় এক ডিগ্রি বেশি৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.