সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: মেঘ-বৃষ্টির খেলা শহরের আকাশে। এদিকে জেলায় জেলায় বৃষ্টির পালা অব্যাহত। মঙ্গলবারও রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় আকাশের মুখ ভার। কখনও হালকা আবার কখনও মুষলধারে বৃষ্টি চলছে। সোমবারই বাঁকুড়ায় আস্ত বাড়ি ভেঙে পড়ার দৃশ্যে শিউরে উঠেছিলেন রাজ্যবাসী। মঙ্গলবার অবশ্য বাঁকুড়ার অবস্থা পালটেছে। বেশ কয়েকটি জায়গায় জল নেমে গিয়েছে। কিন্তু বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের জের এখনও চলবে। আগামী ৪৮ ঘণ্টা এমন বর্ষা চলবে বলে জানিয়ে দিয়েছে হাওয়া অফিস।
[সিটুর ডাকা পরিবহণ ধর্মঘটের আংশিক প্রভাব রাজ্যে, ভোগান্তি যাত্রীদের]
বাঁকুড়ার মহকুমা শাসক অসীম কুমার বালা জানান, গত সোমবার সকালের পর জেলায় আর তেমন বৃষ্টি হয়নি। ফলে পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সতীঘাট এলাকা থেকেও অনেকটা জল নেমে গিয়েছে। আশা করা হচ্ছে খুব শিগগিরিই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। তবে তা অবশ্যই আবহাওয়ার উপর নির্ভরশীল।
এদিকে মঙ্গলবার সকালে মেদিনীপুর শহরের কর্ণেল গোলা এলাকায় রাস্তার উপরে একটি পুরনো দোতলা বাড়ির একাংশ ভেঙে পড়ে। ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর নেই। কারণ বাড়িটির ভেঙে পড়া অংশে কেউ থাকতেন না। সোমবার সারারাত বর্ষণের ফলেই ভগ্নপ্রায় বাড়িটির একাংশ ভেঙে পড়ে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। এদিন সকালে প্রশাসনের পক্ষ থেকে রাস্তার উপর ভেঙে পড়া বাড়ির অংশ সরিয়ে ফেলা হয়।
এদিকে জল বাড়ছে সুবর্ণরেখা নদীর। পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতন ব্লক সুবর্ণরেখার জলে প্লাবিত হয়েছে। দাঁতন এক নম্বর ব্লকের দাঁতন দুই নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের কুঞ্জবাঁকড়া গ্রামে চারটি বাড়ি ভেঙেছে। আজ সকালে কুঞ্জবাঁকড়া গ্রামে সুবর্ণরেখার জল ঢুকে যায়। নদীর পাড় ভাঙার ফলেই ঘটে বিপত্তি। বাসিন্দাদের আশঙ্কা, চান্ডিল বাঁধ থেকে জল ছাড়লে দাঁতন এক নম্বর ব্লকের আলিকোশা, তররুই, হাঙ্গুয়া পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকা ভেসে যেতে পারে। দাঁতনের বিধায়ক বিক্রম প্রধান জানান, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সুবর্ণরেখার জলের তোড়ে ভেঙে যাওয়া বাড়িগুলি পঞ্চায়েতের তরফ থেকে নতুন করে নির্মাণ করে দেওয়া হবে। আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে।
[নদীর চর থেকে মিলল নাতনির মৃতদেহ, খুনের অভিযোগ ঠাকুমার বিরুদ্ধে]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.