Advertisement
Advertisement
West Bengal News in Bengali

মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই বিদ্যুস্পৃষ্ট রেলের ইঞ্জিনিয়ারের, নিরাপত্তায় গাফিলতির অভিযোগে ক্ষুব্ধ কর্মীরা

শরীর ঝলসে কোচের উপর থেকে নিচে পড়ে যান আমিতাভবাবু।

West Bengal News in Bengali: Railways engineer in Liluah workshop fighting for life after electrocution | Sangbad Pratidin
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:September 29, 2020 10:52 am
  • Updated:September 29, 2020 2:27 pm  

সুব্রত বিশ্বাস: প্রশাসনিক গাফিলতিতে ২৫ হাজার ভোল্টের বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন রেলের ইঞ্জিনিয়ার। তাঁকে বি আর সিং থেকে গার্ডেনরিচ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এখনও রেল প্রশাসন নীরব থাকায় গাফিলতির অভিযোগ তুলল লিলুয়া ওয়ার্কশপের কর্মীরা।

[আরও পড়ুন: মিষ্টি বিক্রির ক্ষেত্রে ‘বেস্ট বিফোর’ লেখার সিদ্ধান্ত তুলে নিন, চিঠিতে আরজি মোদি-মমতাকে]

মঙ্গলবার ওয়ার্কশপের চিফ ওয়ার্কস ম্যানেজারকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাবে মেনস ইউনিয়ন। বিক্ষোভ দেখাবে কংগ্রেস ইউনিয়নও। সহকর্মীদের অভিযোগ, কোনওরকম কাগজ-কলম ছাড়াই মৌখিক নির্দেশে লিলুয়া ওয়ার্কশপের সহকারী ওয়ার্কস ম্যানেজার কোচিং ভার্মা শনিবার দুই সিনিয়ার সেকশন ইঞ্জিনিয়ারকে নিয়ে ডানকুনি যান। সেখানে পুরনো কোচকে ওভারহেড তারের কাজের জন্য ট্রাকসান ভ্যান রূপান্তরের কাজ হচ্ছিল। এই কাজ দেখতে কোচের উপর প্রিন্সিপাল সিনিয়ার সেকশন ইঞ্জিনিয়ার অমিতাভ সেনগুপ্তকে উঠতে বলেন ভার্মা। বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন না থাকায় ২৫ হাজার ভোল্টে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন আমিতাভবাবু। শরীর ঝলসে কোচের উপর থেকে নিচে পড়েন। বাঁচাতে গিয়ে আহত হন সহকর্মী এসএসই মৃনাল ঘোষদস্তিদার। আশঙ্কাজনক পরিস্থিতিতে আমিতাভবাবুকে বিআর সিং হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সোমবার পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় তাঁকে গার্ডেনরিচে পাঠানো হয়। বি আর সিং হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে ভেনিস ভেন কেটে ফ্লুইড দিতে হচ্ছে। তাদের হাসপাতালে প্লাস্টিক সার্জেন বা থাকায় স্থানান্তর করতে হয়েছে।

Advertisement

দুর্ঘটনার পরই ওয়ার্কশপ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন কর্মী থেকে ইউনিয়নগুলি। পূর্ব রেলের মেনস ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক বলেন, “কাগজে কলমের নির্দেশ ছাড়াই ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়ে যাওয়াটাই চরম গাফিলতি। এরপর নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছাড়া কর্মীকে ওভেরহেডের কাজে তোলা ভয়ঙ্কর অপরাধ। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে এফআইআর করতে হবে।” কর্মীদের অভিযোগ, এই প্রথম নয়, প্রশাসনিক উদাসীনতায় এমন বহু ঘটনা ঘটেছে। আহত হয়েছেন এমনকি মারা গিয়েছেন কর্মী। নিরাপত্তার ব্যবস্থা ছাড় কাজ করানো রেলের নীতি বলে অভিযোগ তুলেছেন কর্মীরা। বিগত দিনে আসানসোল এমন ঘটনা ঘটেছে। লিলুয়ায় ওয়ার্কশপে রেলের চাকা আনার সময় তা ছিটকে এক গার্ড মারা যান। খড়গপুর ওয়ার্কশপে ওয়াগন থেকে চাকা নামানোর সময় তাতে চাপা পড়ে মারা যান এক শ্রমিক। বারবার এই ঘটনা ঘটলেও শিক্ষা নেয়নি রেল। এক্ষণও চলছে গাফিলতি। যার ফলে মৃত্যুর সঙ্গে এখনও অসম লড়াই চালাচ্ছেন অমিতাভ সেনগুপ্ত।

কর্মীরা গাফিলতির অভিযোগ তুললেও ভারপ্রাপ্ত চিফ মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার রাজীব কুমার বলেন, এনিয়ে তাঁর বলার একতিয়ার নেই। যা বলবেন সিপিআরও। সিপিআরও নিখিল চক্রবর্তী বলেন, কর্মীদের বুক করে নিয়ে হওয়া হয়েছিল। এমনকি উপযুক্ত নিরাপত্তাও ছিল বলে ওয়ার্কশপ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

[আরও পড়ুন: ফেন্সিংয়ের বিরোধিতা, সকাল থেকে ফের আন্দোলনে শান্তিনিকেতনের মেলামাঠ বাঁচাও কমিটি]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement