Advertisement
Advertisement
Cyclone Yaas

আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’, বিপত্তি এড়াতে চেন দিয়ে বাঁধা হবে সমস্ত ট্রেন

এছাড়াও নানা আপৎকালীন ব্যবস্থা তৈরি রাখছে রেল।

Railways braces for Cyclone Yaas | Sangbad Pratidin
Published by: Abhisek Rakshit
  • Posted:May 22, 2021 8:53 am
  • Updated:May 22, 2021 8:53 am  

স্টাফ রিপোর্টার, কলকাতা ও নয়াদিল্লি: আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’ (Yaas)। কারশেড বা বড় স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেন বাঁধা থাকবে চেন দিয়ে। সাধারণ যাত্রীবাহী ট্রেন বন্ধ। তবে দূরপাল্লার ট্রেন চালু রয়েছে। ফলে ঝড় নিয়ে ভাবতেই হচ্ছে রেলকে। শুক্রবার পূর্ব রেলের (Indian Railways) জিএম মনোজ যোশী বিভাগীয় কর্তা ও ডিআরএমদের সঙ্গে এনিয়ে জরুরি বৈঠক করে এ বিষয়ে একাধিক নির্দেশ দেন। তবে রেল হাসপাতালগুলিকে ঝড়ের তাণ্ডব থেকে সুরক্ষিত রাখতে নানা আপৎকালীন ব্যবস্থা তৈরি রাখার পাশাপাশি অ্যাক্সিডেন্ট রিলিফ ট্রেন ও কর্মীদের তৈরি থাকতে বলা হয়েছে। জলের পাম্প থেকে বিকল্প বিদ্যুৎ ব্যবস্থা, ওষুধের জোগান রাখতে বলা হয়েছে। জল জমে প্রয়োজনীয় সামগ্রী যাতে নষ্ট না হয় সেজন্য তা সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কারণ, এই মুহূর্তে প্রতিটি রেল হাসপাতালে কোভিড আক্রান্ত রোগীতে ভরতি। যাদের মধ্যে অনেকেই ক্রিটিক্যাল স্টেজে। ফলে চিকিৎসা বিভ্রাট যাতে না ঘটে সেজন্য কর্মীদের সজাগ থাকতে বলা হয়েছে।

বুধবার রাজ্যের সঙ্গে রেলকর্তাদের এনিয়ে বৈঠকের পর রাজ্যের নির্দেশে নিজেদের পরিকাঠামোকে সাজাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে রেল। আগামী ২৫ মে থেকে ২৬ মে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার সমুদ্র উপকূলে ঝড় আছড়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। ওই দিনগুলিতে শিয়ালদহ ও হাওড়া ডিভিশনকে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন জিএম। দুই ডিভিশনের ইঞ্জিনিয়ারিং, অপারেশন, সিগন্যালিং বিভাগগুলিকে ঝড়ের সঙ্গে মোকাবিলা করার সব রকমের প্রস্তুতি রাখতে নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। হাওড়ার ডিআরএম সুমিত নারুলা বলেন, হাওড়া কারশেড এলাকা জলে প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে সেই এলাকা থেকে সমস্ত ট্রেন সরিয়ে অন্যত্র রাখার পাশাপাশি নিকাশি ব্যবস্থা উপযুক্ত রাখা হবে। জল তুলে ফেলার জন্য পাম্পগুলিকে সক্রিয় রাখা হবে। এছাড়া ওভারেহেডের তার ছিঁড়ে বিপত্তি হওয়ার আশঙ্কায় টাওয়ার ভ্যান প্রস্তুত রাখার সঙ্গে ইলেকট্রিক বিভাগের কর্মীদের চব্বিশ ঘণ্টা কাজের জন্য হাজির থাকতে হবে। একই রকমভাবে ওভারহেডের তার ও রেলের অন্য জায়গায় গাছের ডাল পড়ার পরিস্থিতি মোকাবিলায় কর্মীদের মোতায়েন রাখা হবে। ঝড়ের তাণ্ডবে কারশেড এলাকা বা অন্য রোডসাইড এলাকায় যেখানে ট্রেনগুলি রাখা হবে, সেই বগিগুলি যাতে গড়িয়ে বিপত্তি না ঘটায় সেজন্য লাইনের সঙ্গে বগিগুলিকে বেঁধে রাখা হবে চেন দিয়ে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: বালি ব্রিজ থেকে শিশুকে ছুঁড়ে ফেলে গঙ্গায় মরণঝাঁপ যুবকের! তল্লাশিতে ডুবুরি]

পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব রকমের প্রস্তুতি নিচ্ছে শিয়ালদহ ডিভিশনও। ডিআরএম এস পি সিং বলেন, ডিভিশনের মধ্যে ঝড়ের বেশি প্রভাব পড়ে শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায়। সব রকমের ব্যবস্থার সঙ্গে রেলের বিপর্যয় সামলানোর মতো বিভাগগুলিকে হাজির রাখা হবে নির্দিষ্ট এলাকায়। নদী ব্রিজগুলির পরিস্থিতি আগাম পরীক্ষা—নিরীক্ষা করে খতিয়ে দেখা হবে। এছাড়া লাইনে পেট্রোলিংয়ে যুক্ত কর্মীদের ধস নামার দিকটিতে বিশেষ নজর দিতে হবে।

ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাব্য গতিপথে থাকা চার রাজ্য ও এক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে লেখা চিঠিতে এদিন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ লেখেন, উপকুলবর্তী জেলাগুলির হাসপাতালগুলির পরিকাঠামো দ্রুত খতিয়ে দেখে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়। প্রয়োজনে সম্ভাব্য ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা থেকে জরুরি পরিষেবা সরিয়ে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিছুতেই যাতে করোনা চিকিৎসা, টিকাকরণ ব্যাহত না হয়, তা সুনিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে। প্রয়োজনে বেশি লোক নিয়োগ করে প্রত্যেক নাগরিকের সুচিকিৎসার বন্দোবস্ত করতে হবে। ঝড়ে বিদ্যুৎ পরিষেবা যাতে বিঘ্নিত না ঘটে, তার জন্য প্রয়োজনীয় বিকল্প ব্যবস্থা তৈরি রাখার কথা বলা হয়েছে। মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে বিদ্যুতের অভাবে যেন অক্সিজেন, ভেন্টিলেশন-সহ জীবনদায়ী পরিষেবায় কোনও ব্যাঘাত না ঘটে। আরও বিভিন্ন নির্দেশিকা দিয়ে বলা হয়েছে, প্রয়োজনে কেন্দ্রের সঙ্গে যোগাযোগ করতে। কেন্দ্র সবরকম সাহায্যের জন‌্য তৈরি।

[আরও পড়ুন: অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে টানাটানি, আসানসোলে হেনস্থার শিকার রেড ভলান্টিয়ার্স!]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement