এই নোটিস ঘিরেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। নিজস্ব চিত্র
অংশুপ্রতীম পাল, খড়্গপুর: অবৈধ নির্মাণ সরিয়ে ফেলতে হবে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে। তা না হলে রেল কর্তৃপক্ষ পদক্ষেপ করতে বাধ্য হবে। এই নোটিস লাগাতে গিয়ে আবাসিকদের বলা হয়েছে, নির্দেশ না মানলে উচ্ছেদ করা হবে। রেল কর্তৃপক্ষের এই আচরণে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে খড়্গপুরের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের পাঁচপীর এলাকার বস্তিতে। সেখানে প্রায় ৮০০ পরিবারের বাস রয়েছে।
রেলের এই নোটিস এখনও পর্যন্ত ৮ থেকে ১০টি বাড়িতে লাগানো হয়েছে। তাতেই উচ্ছেদের আতঙ্ক ছড়িয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে রেলের পক্ষ থেকে এই নোটিশ লাগানো হয়েছে। এদিন বিকেলে বস্তি এলাকায় যান খড়গপুরের প্রাক্তন পুরপ্রধান তথা বিধায়ক প্রদীপ সরকার। ছিলেন ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রোহন দাস-সহ তৃণমূল নেতা, কর্মীরা। তাঁরা ওইসব পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। সেই নোটিসও ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে।
স্থানীয় বিজেপির কাউন্সিলর অনুশ্রী বেহেড়াও ঘটনাস্থলে গিয়ে বস্তিবাসীদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। বস্তির বাসিন্দা শ্যাম খটিক বলেন, “আগে রেল কখনও এই ধরনের ব্যবহার করেনি। বৃহস্পতিবার হঠাৎ এই নোটিশ বাড়ির সামনে লাগিয়ে দিয়ে চলে গিয়েছে।” গত ৬০ থেকে ৭০ বছর ধরে ওই এলাকায় বহু পরিবার বাস করছে। এখন তাঁরা কোথায় যাবেন? তাই নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। রেলের সিদ্ধান্ত কিছুতেই মেনে নেওয়া হবে না। সেই কথা বলা হচ্ছে। উচ্ছেদ করতে হলে আগে পুনর্বাসন দিতে হবে। সেই দাবিও তোলা হয়েছে।
বিধায়ক প্রদীপ সরকার বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী বলে গিয়েছেন রেলের বস্তি উচ্ছেদ কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। আমরা বস্তিবাসীদের পাশে রয়েছি। আর এই নোটিস যে রেলের তারই বা নিশ্চয়তা কোথায়। নোটিসে রেলের কোনও আধিকারিকের সই নেই।” বিজেপির কাউন্সিলর অনুশ্রী বেহেড়া বলেন, “যদি বস্তি উচ্ছেদ করতে আসে, তাহলে নিশ্চিতভাবেই বাধা দেওয়া হবে। এই নোটিস রেলের পক্ষ থেকে আদৌ দেওয়া হয়েছে কিনা, সেটি খতিয়ে দেখার দরকার রয়েছে।”
রেলের খড়্গপুর ডিভিশনের সিনিয়র ডিসিএম তথা জনসংযোগ আধিকারিক অলোক কৃষ্ণা বললেন, “রেল কোথাও উচ্ছেদের নোটিস দেয়নি। কেবল রেলের জায়গায় বেআইনি নির্মাণ সরিয়ে দেওয়ার কথা বলেছে। অবৈধ নির্মাণ সরিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে রেলের এটা অনেক আগের অবস্থান।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.