ফাইল ছবি।
সুব্রত বিশ্বাস: আদালতের সম্মতিতে প্রতিকূলতা কেটেছে। আগামী এক বছরের মধ্যে গোঘাট থেকে কামারপুকুরে রেলের চাকা গড়াবে বলে আশা করেছেন রেলকর্তারা। জোরকদমে সেজে উঠছে ঠাকুর রামকৃষ্ণের জন্মস্থান কামারপুকুর রেল স্টেশন। সম্প্রতি মা সারদার জন্মস্থান জয়রামবাটি স্টেশন পর্যন্ত শুরু হয়েছে রেল চলাচল। মায়েরবাড়ি ছুঁয়ে ঠাকুরের জন্মস্থানে রেল আসবে। সেই প্রতিক্ষায় প্রহর গুনছেন কামারপুকুরের লোকজন।
সম্প্রতি আদালত রায় দিয়েছে, ভবাদিঘির জন্য আটকে থাকা রেললাইন পাতার কাজ আগামী তিন মাসের মধ্যে রেলকে শুরু করতে সহযোগিতা করবে রাজ্য। আদালতের এই রায়ের পর ভবাদিঘির ৯৫০ মিটার এলাকার সমস্যা বাদ দিয়ে প্রকল্পের আর সব কাজই সেরে ফেলতে চাইছে রেল। তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর রেল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন ২০০০-২০০১ সালে এই রেল প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছিলেন। দ্রুত কাজ শুরু হয়েছিল। ২০১২ সালের ৪ জুন হাওড়া থেকে তারকেশ্বর হয়ে আরামবাগ পর্যন্ত রেল চালু হয়ে গিয়েছিল। পরে গোঘাট পর্যন্ত ট্রেন সম্প্রসারিত হয়।
কিন্তু গোঘাটের ভাবাদিঘি জটের কারণে থমকে যায় তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর রেল প্রকল্পের কাজ। এরপর শুরু হয় দিঘি রক্ষার আন্দোলন। অন্যদিকে রেল চালানোর দাবি জোরদার হয়। সম্প্রতি ভাবাদিঘির জট কাটিয়ে তিন মাসের মধ্যে রেল চালানোর নির্দেশ দেয় কলকাতা হাই কোর্ট। তাই ফের আটকে থাকা কাজ শুরু হয়। বিষ্ণুপুর থেকে জয়রামবাটি ট্রেন চালু হয় ক’দিন আগেই। আদালতের সবুজ সংকেত মিলতেই জোরকদমে শুরু হয়েছে কামারপুকুর রেল স্টেশন সাজানোর কাজও। রেললাইন পাতা থেকে শুরু করে স্টেশনের শেড, লাইট, ওভারব্রিজ ও জল লাইনের কাজ প্রায় সারা। খুব তাড়াতাড়ি কামারপুকুর স্টেশন তৈরির কাজ শেষ হবে বলে জানা গিয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.