Advertisement
Advertisement

Breaking News

হাতি

গতি নিয়ন্ত্রণ না হওয়াতেই হাতির মৃত্যু,ডুয়ার্সের ঘটনায় রেলকে দায়ী করল বনদপ্তর

ট্রেনের গতি নিয়ন্ত্রণের অনুরোধ মানছে না রেল৷

railway department accused for elephant death at Maraghat in Jalpaiguri

প্রতীকী

Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:July 2, 2019 9:03 am
  • Updated:July 2, 2019 9:03 am  

শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: ডুয়ার্সের মরাঘাটে হাতির মৃত্যুকে রেলকেই দুষল বনদপ্তর। এলাকাটি হাতির করিডর বলে পরিচিত। তাই বন দপ্তরের তরফে সেখানে ট্রেনের গতি নিয়ন্ত্রণের অনুরোধ জানানো হয়েছিল রেলকে। কিন্তু, তা মানা হয়নি বলে অভিযোগ বনদপ্তরের। সোমবার রাতে ডুয়ার্সের মরাঘাট রেল স্টেশনের কাছে শিলিগুড়ি থেকে ধুবড়িগামী ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসের ধাক্কায় পূর্ণবয়স্ক একটি স্ত্রী হাতির মৃত্যুতে ফের উসকে উঠল দুই দপ্তরের পুরনো বিবাদ৷

[আরও পড়ুন-সাপের কামড়ে মৃত কিশোরী, ‘প্রাণ’ ফেরাতে দেহ বাড়িতে এনে দু’দিন ধরে ঝাড়ফুঁক!]

স্থানীয়দের দাবি, এলাকায় হাতির পাল ঘুরে বেড়াতে দেখেছিলেন তাঁরা। তাই দুর্ঘটনার পর একটি হাতির দেহ লাইনের পাশে পড়ে থাকলেও আরও কয়েকটি হাতির জখম হওয়ার আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছে না বনদপ্তর। এজন্য ঘটনার পর থেকেই জখম হাতিদের খোঁজে জঙ্গল সংলগ্ন এলাকায় তল্লাশি শুরু করেছে তারা।

Advertisement

বিন্নাগুড়ি ওয়াইল্ড লাইফ স্কোয়াডের দাবি, মরাঘাট রেলপথ হাতিদের অন্যতম করিডর। মরাঘাট থেকে রেতি, ডায়না, তোতাপাড়ার জঙ্গলে যাওয়ার জন্য এই পথটি ব্যবহার করে তারা। ২০১০ সালে এই রেলপথ পার হতে গিয়ে একসঙ্গে সাতটি হাতির মৃত্যু হয়েছিল। মর্মান্তিক সেই ঘটনার পর নড়েচড়ে বসে বন দপ্তর এবং রেলমন্ত্রক। দফায় দফায় আলোচনার পর ওই রেলপথে ট্রেনের গতি নিয়ন্ত্রণ করে চালাবার প্রস্তাব মেনেও নেয় রেল।

বনদপ্তরের অভিযোগ, মুখে গতি নিয়ন্ত্রণের কথা বলা হলেও অনেক সময় তা মেনে চলা হয় না। ফলে মাঝেমধ্যেই রাতের অন্ধকারে ডুয়ার্সের ওই রেলপথে হাতি এবং অন্যান্য বন্যপ্রাণীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। মরাঘাট ওয়াইল্ড লাইফ স্কোয়াডের রেঞ্জ অফিসার অর্ঘ্যদীপ রায় জানান, বেশ কিছুদিন ধরেই মরাঘাট, রেতির জঙ্গলে বেশ কয়েকটি হাতির দলের গতিবিধি লক্ষ্য করেছেন তাঁরা। সন্ধ্যার পরই এক জঙ্গল থেকে বেরিয়ে আরেক জঙ্গলে যাচ্ছে হাতির দল। এই অবস্থায় দুর্ঘটনা এড়াতে প্রতিদিনই মরাঘাট, বিন্নাগুড়ি রেল স্টেশনকে চিঠি লিখে ট্রেনকে কম গতিতে চালানোর জন্য সতর্ক করা হচ্ছিল। রবিবার বিকেলেও চিঠি পাঠিয়ে একইভাবে সতর্ক করে বিন্নাগুড়ি রেঞ্জ। কিন্তু, তারপরও এই ঘটনায় রেলের ভূমিকা নিয়ে ক্ষুব্ধ বন দপ্তর।

[আরও পড়ুন- দু’বছর কেটে গেলেও স্টেডিয়ামে বসেনি সৌরভের মূর্তি, ক্ষুব্ধ বালুরঘাটের বাসিন্দারা]

যদিও আলিপুরদুয়ার রেল ডিভিশনের তরফে ৩৯ কিলোমিটার গতিবেগে গাড়ি চলছিল বলে দাবি করা হয়েছে। কিন্তু বনদপ্তরের অভিযোগ, কম করে ৭০ থেকে ৮০ কিলোমিটার গতিবেগে ট্রেনটি ছুটছিল। ঘটনাস্থল থেকে ২০০ মিটার দূরে বিরাট চেহারার হাতির দেহ ছিটকে নিয়ে যাওয়া সেটাই প্রমাণ করে। গরুমারা বন্যপ্রাণী বিভাগের বনাধিকারিক নিশা গোস্বামী জানান, রেলকে বহুবার সতর্ক করা সত্ত্বেও তারা যে সতর্ক হয়নি, এই ঘটনা আরও একবার তা প্রমাণ করল। এই নিয়ে রেলের সঙ্গে আবার বৈঠকে বসবেন বলেও জানান তিনি। একইসঙ্গে জঙ্গলে আরও কোনও আহত হাতি রয়েছে কিনা, তার খোঁজও চলছে বলে জানান তিনি। এব্যাপারে আলিপুরদুয়ার রেল ডিভিশনের সিনিয়র ডিভিশনাল কমার্শিয়াল ম্যানেজার এ কে ঠাকুর জানান, অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। ভবিষ্যতে যাতে এই ঘটনা এড়ানো যায়, তা নিয়ে পদক্ষেপ করা হবে। রেল চালকদের জঙ্গল পথে আরও সতর্ক হয়ে গাড়ি চালানোর নির্দেশ দেওয়া হবে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement