Advertisement
Advertisement

Breaking News

সপ্তাহে একদিন স্পেশ্যাল ট্রেন

সপ্তাহে একদিন চলুক স্পেশ্যাল ট্রেন, রাজ্যের আবেদন পেয়ে পরিকল্পনা শুরু রেলের

এভাবে ট্রেন চললে রেলের আর্থিক ক্ষতি হবে।

Railway considers West Bengal's appeal to run special trains weekly
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:July 1, 2020 7:24 pm
  • Updated:July 1, 2020 7:24 pm  

সুব্রত বিশ্বাস: পূর্বা এক্সপ্রেস, আহমেদাবাদ এক্সপ্রেস, মহানন্দা এক্সপ্রেস-সহ বেশ কয়েকটি স্পেশ্যাল ট্রেনকে সপ্তাহে এক দিনের বেশি রাজ্যে প্রবেশ করতে দিতে নারাজ সরকার। রেল বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে এই নিয়ে রাজ্যের চিঠি পৌঁছেছে। আর চিঠি পাওয়ার পরই রেল বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। পূর্ব রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, বোর্ড রাজ্যের আবেদনে ইতিবাচক সাড়া দিলেই দৈনিক ট্রেনগুলিকে সাপ্তাহিক হিসাবে চালানো শুরু করবে। পূর্ব রেল স্পষ্ট করেছে, রাজ্য না চাইলে রেল তা বন্ধ করে দেবে। তার জন্য রেলের আর্থিক ক্ষতি ছাড়া অন্য কোনও অসুবিধা হবে না বলেও জানানো হয়েছে।

করোনা (Coronavirus) পরিস্থিতিতে ভিন রাজ্যের অধিক সংখ্যক ট্রেনের এ রাজ্যে প্রবেশ কমাতে দিন কয়েক আগেই রেলের কাছে আবেদনে জানানো হয়েছিল। হাওড়া ও শিয়ালদহ থেকে রোজই স্পেশ্যাল ট্রেন হিসেবে চলাচল করছে পূর্বা এক্সপ্রেস, যোধপুর এক্সপ্রেস, আহমেদাবাদ এক্সপ্রেস, অমৃতসর এক্সপ্রেস, পাটনা জনশতাব্দী এক্সপ্রেস, পদাতিক এক্সপ্রেস, ভুবনেশ্বর দুরন্ত এক্সপ্রেস। রেলের তরফে জানানো হয়েছে, এই ট্রেনগুলো না চললে আর্থিক ক্ষতি ছাড়া তাদের আর কোনওরকমের অসুবিধা হবে না। যদিও সেই আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ নেহাত কম নয়। জানা গিয়েছে, এক একটি ট্রেনে এক ট্রিপে আয় ১২-১৩ লক্ষ টাকার মতো। সপ্তাহে একদিন মাত্র একটি ট্রেন চললে ট্রেন পিছু ক্ষতির পরিমাণ দেড় কোটি টাকার বেশি।

Advertisement

[আরও পড়ুন: কারচুপি করে সরকারি জমি হাতানোর অভিযোগ, CID’র হাতে ধৃত প্রভাবশালী প্রোমোটার]

তবে রেল স্পষ্ট করেছে, রাজ্য না চাইলে এই ক্ষতি তাদের মেনে নিতে কোনও অসুবিধা নেই। তবে সপ্তাহে একদিন করে স্পেশাল ট্রেন চললে সবচেয়ে বিপদে পড়বেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। আনলকে (Unlock 2) দিল্লির বহু জায়গায় নানা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান খুলে গিয়েছে। অনেক রাজ্যে একই পরিস্থিতি। ফলে শ্রমিকরা কর্মস্থলে ফিরে যাচ্ছেন। সব ট্রেনেই আসন পূর্ণ। এই পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বিপদে পড়বেন এসব যাত্রীদের একাংশ। এক একটি ট্রেনে পনেরোশোরও বেশি যাত্রী যাতায়াত করে থাকেন। সপ্তাহে একদিন ট্রেন চললে একটি ট্রেনে সপ্তাহে আঠারো হাজার যাত্রী যাত্রা করতে পারবেন না। ফলে রাজ্যের যে সব পরিযায়ীরা ফিরতে শুরু করেছেন, তাঁরা যথাসময়ে যাত্রা করতে পারবেন না। অহেতুক দেরিতে বিপদের মুখে পড়ার আশঙ্কা তাঁদের। যাত্রীদের আবেদন, টিকিটের সংখ্যা কমিয়ে ট্রেনে সামাজিক দূরত্ব (Social Distance) বজায় রাখার ব্যবস্থা করুক রেল। তবু যেন স্পেশ্যাল বাতিল না করা হয়।

[আরও পড়ুন: বীরভূমে জাতীয় সড়কে উলটে গেল যাত্রী বোঝাই বাস, জখম ৩০]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement