সুব্রত বিশ্বাস: বেতনের ২৪ শতাংশ ঘর ভাড়া দিয়েও স্বস্তি নেই রেলকর্মীদের। মোটা ভাড়ার সেই রেল (Rail) আবাসন ভেঙে পড়ছে। তাই প্রাণ হাতে নিয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে থাকতে হচ্ছে সেখানেই। শতাব্দী প্রাচীন লিলুয়ার (Liluah) রেল আবাসনের জীর্ণ দশায় ক্ষুব্ধ আবাসিকরা। প্রতিকার চেয়ে মঙ্গলবার লিলুয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং দপ্তর ঘেরাও করে রাখলেন।
দূরত্ববিধি লঙ্ঘন (Social Distancing) করে দীর্ঘ সময় ধরে চলল বিক্ষোভ। আবাসিকদের বিক্ষোভে নেতৃত্ব দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) যুব নেতৃত্ব। যুব তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক তথা স্থানীয় প্রাক্তন কাউন্সিলর কৈলাস মিশ্র অভিযোগ করেন, আবাসনগুলির জীর্ণ দশা। পনেরো-কুড়ি হাজার টাকা ভাড়া গুনেও জীবন হাতে নিয়ে থাকতে হচ্ছে। দুদিন আগে ছাদ ভেঙে জখম হয় এক কিশোরী। রেলের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ উদাসীন। ফলে চরম সংকটে দিন কাটাচ্ছেন আবাসিকরা।
সংকটজনক পরিস্থিতির কথা স্বীকার করে নিয়েছে ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ। অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার আর্জে বিশ্বাস বলেন, “এটি প্রাচীন আবাসন কীভাবে তাকে নতুন অবস্থায় ফিরিয়ে আনা যাবে। তিনি উদাহরণ টেনে বলেন, আশি বছরের বৃদ্ধা, কোন সার্জারিতে চল্লিশের মতো করা যাবে? তেমন ভাবে এই আবাসন ঠিক করা অসম্ভব।
বিক্ষোভরত আবাসিকদের অভিযোগ, মোটা টাকা ‘হাউজ রেন্ট’ হিসাবে কাটলেও আবাসনগুলিতে নজর দেয় না ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ।বারবার লিখিত ভাবে জানানো সত্বেও গুরুত্ব দেয়না সুপার ভাইজার রণজিৎ পাখিরা। সুপারভাইজারকে অপসারণ করার দাবিও তুলেছেন তারা। করোনা, আমফানের মতো বিপর্যয়ে এই সুপারভাইজার অফিসে আসেননি। ফলে চরম পরিস্থিতি সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন তারা। আবাসন গুলির পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস পেয়ে বিক্ষোভ তুলে নেন আবাসিকরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.