স্টাফ রিপোর্টার: নিম্নচাপ কমজোরি হলেও এখনই বৃষ্টি থেকে রেহাই নেই রাজ্যবাসীর। মৌসুমি অক্ষরেখা সক্রিয় থাকায় মহানগর-সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় আজ মঙ্গলবার এবং আগামিকাল বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা। ফলে দুর্ভোগ চলবে আজও। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানাচ্ছে, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া গভীর নিম্নচাপ গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের থেকে উত্তর, উত্তর-পশ্চিম দিকে সরে যাচ্ছে। কিন্তু মৌসুমি অক্ষরেখা সক্রিয় রয়েছে। তাই বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েই গিয়েছে। হাওড়া, হুগলি, দুই ২৪ পরগনা, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান, ঝাড়গ্রাম এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি চলবে আজও। ব়্যাডার চিত্রে ধরা পড়েছে শক্তি হারিয়ে ঝাড়খণ্ডের দিকে সরে যাচ্ছে নিম্নচাপ। কিন্তু মৌসুমি অক্ষরেখার জেরেই আজও দিনভর বৃষ্টিতে ভিজবে কলকাতা ও সংলগ্ন জেলাগুলি।
[ শহরের পরিচ্ছন্নতা রক্ষার্থে ৫০ বছরের জঞ্জাল বিক্রি করবে শিলিগুড়ি পুরনিগম ]
এদিকে রাতভর নাগাড়ে বৃষ্টিতে সোমবার তো বটেই, মঙ্গলবারও সকাল থেকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে সাধারণ মানুষকে। কলকাতায় পুরনো বাড়ি ভেঙে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। বহু রাস্তায় গাছ পড়ে ব্যাহত হয়েছে যান চলাচল। শহর-শহরতলির একাধিক রাস্তায় জল জমায় দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে সাধারণ মানুষকে। ফলে এক কথায়, অঝোর বৃষ্টি সপ্তাহের প্রথম দিন থেকেই বেগ দিয়েছে রাজ্যবাসীকে। আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, বিদায়ী নিম্নচাপটি বেশ শক্তিশালী ছিল। যাওয়ার মুখেও তাই বৃষ্টি উপহার দিয়ে যাচ্ছে বঙ্গবাসীকে। জুলাইয়ের এই সময়টায় বঙ্গোপসাগরের উপর নিম্নচাপ তৈরির সম্ভাবনা অত্যন্ত প্রবল থাকে। আগামী দু-তিনদিনের মধ্যে উত্তর বঙ্গোপসাগরে ফের নিম্নচাপ তৈরি হওয়ার একটা সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছে হাওয়া অফিস।
[ চুল কেটে নিয়েছে ভাসুর, মহিলার অভিযোগ নিল না পুলিশ ]
সারারাত ধরে চলা বৃষ্টিতে সোমবার সকাল থেকেই শহরের বিভিন্ন রাস্তা ছিল জলমগ্ন। একাধিক জায়গায় গাছ ভেঙে পড়েছে। ফলে বহু এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকে দীর্ঘক্ষণ। যাদবপুরের বেঙ্গল ল্যাম্পে বিদ্যুতের খুঁটির উপর গাছ উপড়ে পড়ে। সায়েন্স সিটি, রুবি মোড়, চিংড়িহাটা, বেহালা, শখেরবাজার খিদিরপুর, আমহার্স্ট স্ট্রিট, এম জি রোড-সহ শহরের বিস্তীর্ণ এলাকায় জল জমে। তবে পুরসভার তরফে দ্রুত জল নামানোর ব্যবস্থা করা হয়। তাতে অবশ্য দুর্ভোগ এড়ায়নি যাত্রীদের। বৃষ্টির জেরে একাধিক রাস্তায় প্রবল যানজট তৈরি হয়। বিশেষত বাইপাসে যান চলাচল দীর্ঘক্ষণ বিপর্যস্ত থাকে। বেলা পর্যন্ত চলে দুর্ভোগ। তবে ট্রাফিকের তরফে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করা হয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.