ফাইল ছবি।
অর্ণব দাস, বারাকপুর: স্টেশনে ফুটব্রিজ সম্প্রসারণের দাবিতে শিয়ালদহ মেন শাখার বারাকপুরে (Barrackpore)রেল অবরোধ। সপ্তাহের প্রথম দিন শিয়ালদহ (Sealdah) মেন লাইনের একাধিক শাখায় বন্ধ ট্রেন চলাচল। যার জেরে চূড়ান্ত দুর্ভোগের মুখে নিত্যযাত্রীরা। শিয়ালদহ থেকে আপ ও ডাউন শাখায় কোনও ট্রেন এই মুহূর্তে চলছে না। সকাল ৯টা থেকে বারাকপুরের ১৪ নং রেলগেট অবরোধে (Rail Block) শামিল বারাকপুর নাগরিক মঞ্চ।
নাগরিক মঞ্চের দাবি, এই ফুটব্রিজটি বারাকপুরের পূর্ব পাড়ের সঙ্গে পশ্চিম পাড়ের যোগাযোগের অন্যতম যোগাযোগ মাধ্যম ছিল। কিন্তু ফুটব্রিজের মাঝের অংশ ভেঙে দেওয়ায় প্রতিদিনই ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে অনেককে। এর আগেও রেল কর্তৃপক্ষকে জানানো, গণস্বাক্ষর-সহ একাধিক কর্মসূচি করা হয়েছিল। কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি। তাই শেষমেশ রেল অবরোধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংগঠন।
প্রসঙ্গত, বছর ১০-১২ আগে বারাকপুর রেল স্টেশনের মাঝে তৈরি হয়েছিল একটি ফুটব্রিজ। স্টেশনের নিত্যযাত্রীদের পাশাপাশি বারাকপুর শহরের পূর্ব এবং পশ্চিম পারের যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম ছিল সেটি। পরবর্তীকালে প্ল্যাটফর্ম বর্ধিত হওয়ার পর স্টেশনে এক প্রান্তে আরেকটি নতুন ফুটব্রিজ তৈরি হয়। কিন্তু এই ফুটব্রিজে শুধুমাত্র প্ল্যাটফর্মগুলির সঙ্গেই যোগ রয়েছে। স্টেশনের দুই পাড়ের যোগাযোগের কোন ব্যবস্থা নেই। স্বাভাবিক ভাবে পুরোনো ফুটব্রিজটির জনপ্রিয়তা ছিল অনেক বেশি। পরবর্তীতে করোনা কালে রেল পরিষেবা বেশ কিছুদিন বন্ধ রাখা হয়। তখনই পুরোনো ফুটব্রিজটির মাঝের অংশ ভেঙে দেওয়া হয়। লকডাউনের পরে রেল পরিষেবা ফের চালু হলে স্টেশনের মাঝের ফুটব্রিজ ব্যবহার না করতে পারায় সেই সময় থেকেই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীর।
এর প্রতিবাদেই সোমবার সকাল থেকেই অবরোধে নামেন তাঁরা। অবরোধকারীদের দাবি, দিন ১৫ আগে থেকেই তাঁরা স্টেশন চত্বরে প্রচার করেছিলেন এই অবরোধ কর্মসূচির কথা। সেইমতো আজ রেল অবরোধ করা হচ্ছে। কিন্তু এতে যে সাধারণ মানুষের হয়রানি হচ্ছে, তার কী সমাধান? এই প্রশ্নের উত্তরে অবরোধকারীরা জানাচ্ছেন, ”সকলের কাছে আমাদের আবেদন, একটা দিন কষ্ট করুন, এর সুফল মিলবে।” কিন্তু এতে তো সমস্যার আশু কোনও সুরাহা মিলছে না। সপ্তাহের প্রথম কাজের দিন এভাবে ট্রেন বন্ধ থাকায় চূড়ান্ত দুর্ভোগের মুখে যাত্রীরা। সড়কপথেও বাড়ছে চাপ। ভিড় সামলেই সময়মতো গন্তব্য়ে পৌঁছতে মরিয়া সকলে।
ঘটনাস্থলে রেল পুলিশ গিয়ে সকলকে বোঝানোর চেষ্টা করলেও প্রথমে তা ব্যর্থ হয়। অবরোধ তুলতে রাজি হননি কেউ। পরে রেলের তরফে ব্রিজ তৈরির আশ্বাসে বেলা পৌনে ১১টা নাগাদ অবরোধ ওঠে। দেড় ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকার পর যাত্রীদের নিয়ে গন্তব্যের দিকে রওনা হয় আটকে থাকা ট্রেনগুলি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.