রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারের নির্বাচনে যে সমস্ত পুলিশ কর্মী ভোট লুঠে সহযোগিতা করেছে, তাদের সাসপেন্ড করার দাবি জানাল বিজেপি। দলের কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিনহার বক্তব্য, “যে পুলিশ কর্মীরা নিষ্ক্রিয় ছিলেন, যাঁরা ভোট লুঠে সহযোগিতা করেছেন, সেই ১৫-২০ জন পুলিশ কর্মচারীকে চিহ্নিত করে নির্বাচন কমিশন সাসপেন্ড করুক। চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হোক। দরকারে জেলে ঢোকাতে হবে। তাহলে গোটা রাজ্যে বাকি দফার ভোট ঠিকঠাক হবে।” একইসঙ্গে তাঁর দাবি, যারা ছাপ্পা ভোট দিচ্ছে তাদের গ্রেপ্তার করে দেশদ্রোহিতার মামলা দেওয়া হোক।
কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারের নির্বাচনে একাধিক বুথে ভোট লুঠ হয়েছে বলে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছে বিজেপি। এমনকী ভোটে কারচুপি হয়েছে, এই অভিযোগে কোচবিহারের ডিসিআরসি সেন্টারে ধরনায় বসেছেন বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিক৷ পুনর্নির্বাচনের দাবি তোলেন তিনি। এদিন বিজেপির রাজ্য দপ্তরে এক সাংবাদিক সম্মেলনে রাহুল সিনহার বক্তব্য, কিছু জায়গায় যেখানে রাজ্য পুলিশের আওতায় ভোট হয়েছে সেখানে গন্ডগোল হয়েছে। রাজ্য-পুলিশ-তৃণমূল মিলে ষড়যন্ত্র করেছে। বাকি জায়গায় যেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী ছিল সেখানে ভোট মোটামুটি শান্তিপূর্ণ। ৯০টি বুথে ছাপ্পা ও গন্ডগোল হয়েছে বলে তিনি জানান। যদিও নির্বাচন কমিশনে ১৬৬টি বুথ নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছে রাজ্য বিজেপি। আগামী দফার ভোটে সব বুথেই শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় বাহিনীই যাতে থাকে, রাজ্য পুলিশকে যাতে বুথের ২০০ গজের বাইরে রাখা হয় সেই দাবিও নির্বাচন কমিশনে জানানো হবে বলে এদিন জানিয়ে দেন রাহুল সিনহা।
বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, দলের তরফে স্পর্শকাতর বুথের তালিকা কমিশনের কাছে দেওয়া হয়েছিল। পরে দেখা গিয়েছে যে বুথগুলি স্পর্শকাতর নয় সেগুলিকেও স্পর্শকাতরের তালিকায় ঢোকানো হয়েছে। নির্বাচন কমিশনে এই তালিকা কারা বানিয়েছে, তা তদন্ত করে দোষীদের চিহ্নিত করার দাবি তুলেছে বিজেপি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.