Advertisement
Advertisement

Breaking News

শহিদ সুদীপ বিশ্বাসের বাড়িতে রাহুল সিনহা, পাশে থাকার আশ্বাস বিজেপি নেতার

তাঁকে সামনে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ে শহিদের পরিবার।

rahul sinha at martyr jawan's house
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:February 27, 2019 8:20 pm
  • Updated:February 27, 2019 8:20 pm  

নিজস্ব সংবাদদাতা, তেহট্ট: পুলওয়ামা কাণ্ডে মৃত ৪৯ সেনার মধ্যেই ছিলেন নদিয়া ও হাওড়ার ২ জন। বুধবার ছিল তাদের শ্রাদ্ধানু্ষ্ঠান। এদিন অনুষ্ঠান চলাকালীন শহিদ সুদীপ বিশ্বাসের বাড়িতে গেলেন বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা ও জেলার বিজেপি নেতৃত্ব। সেখানে বেশ কিছুক্ষণ থাকেন তিনি। তাঁকে সামনে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ে সুদীপের পরিবার।

[বিহার থেকে বনগাঁয় মানসিক ভারসাম্যহীন যুবক, ঘরে ফেরানোর ব্যবস্থা করলেন শিক্ষক]

১৪ ফেব্রুয়ারি জইশ-ই-মহম্মদের হামলায় শহিদ হন বহু ভারতীয় সিআরপিএফ জওয়ান। ওইদিন জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামায় সেনা কনভয়ে ঢুকে পড়ে আত্মঘাতী জঙ্গি৷ প্রচুর বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ির বিস্ফোরণে শহিদ হন সিআরপিএফ জওয়ানেরা৷ তাদের মধ্যেই ছিলেন রাজ্যের দুই জওয়ান সুদীপ বিশ্বাস ও বাবলু সাঁতরা। স্বাধীনতার পর কাশ্মীরে প্রথম এত বড় জঙ্গি হামলার ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছিল গোটা দেশ৷ মঙ্গলবার ছিল মৃত জওয়ানদের পারলৌকিক কাজ। আর সেদিন রাতেই পাকিস্তানকে প্রত্যাঘাত করে ভারত৷ আকাশপথে পাকিস্তানে ঢুকে একাধিক জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করে দেয় ভারতীয় বায়ুসেনার ১২টি মিরাজ-২০০০ যুদ্ধবিমান। বালাকোট, চাকোটি এবং মুজাফ্ফরাবাদে অভিযান চালিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় জইশ-ই-মহম্মদ, হিজবুল মুজাহিদিন এবং লস্কর-ই-তৈবার যৌথ জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবির। প্রতিটি এলাকাতেই জঙ্গিঘাঁটি লক্ষ্য করে বোমাবর্ষণ করে বায়ুসেনার যুদ্ধবিমান। তাতে নিকেশ হয় ৩৫০ জঙ্গি৷ মঙ্গলবার রাতে খবরটা নদিয়ার হাঁসপুকুরিয়ায় পৌঁছতেই যেন দুঃখের মাঝেই কিছুটা স্বস্তি ফিরে আসে। কিছুটা হলেও লাঘব হয় ছেলে হারানোর বেদনা।

Advertisement

[অসুস্থ পরীক্ষার্থী, হাসপাতালেই পরীক্ষার ব্যবস্থা সংসদের]

এর পরদিন বুধবারই প্রবল বৃষ্টিকে উপেক্ষা করেই হাঁসপুকুরিয়ায় সুদীপ বিশ্বাসের বাড়িতে গেলেন বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা। সঙ্গে ছিল বিজেপির জেলা নেতৃত্ব। সেখানে শহিদের বাবা সন্ন্যাসী বিশ্বাসের সঙ্গে কথা বলেন রাহুল সিনহা। তাদের পাশে থাকার আশ্বাসও দেন তিনি। আর তাঁকে কাছে পেতেই কান্নায় ভেঙে পড়ে সুদীপের পরিবার। মৃত জওয়ানের বাবা বলেন, ‘আমার ছেলে আর ফিরবে না, তবে ওরা আঘাত পেয়েছে আমি তাতে খুশি’। বিজেপি নেতার আশ্বাসে কিছুটা হলেও স্বস্তি পেয়েছে গোটা পরিবার।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement