কল্যাণ চন্দ, মুর্শিদাবাদ: কোনও কারণ নেই। কিন্তু দশ মিনিট হাসতে হবে। আবার কখনও দশ মিনিট কাঁদতেও হতে পারে। মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে খোদ সরকারি হস্টেলেই ব়্যাগিংয়ে শিকার প্রথম বর্ষের এক পড়ুয়া। অত্যাচার মাত্রা এতটাই বেশি যে, হস্টেল ছেড়ে চলে গিয়েছেন ওই পড়ুয়া। তাঁর অভিযোগে ভিত্তিতে অভিযুক্ত দুই পড়ুয়াকে বহিষ্কার করেছে হস্টেল কর্তৃপক্ষ।
[ ছাত্র সংসদের দখল নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষ, উত্তপ্ত জলপাইগুড়ি মহিলা কলেজ]
আক্রান্ত ওই পড়ুয়ার নাম গোপাল মহলদার। তঁর বাড়ি মুর্শিদাবাদেরই নবগ্রামে। বহরমপুরের কৃষ্ণনাথ কলেজে সংস্কৃতে অনার্স নিয়ে ভরতি হয়েছেন গোপাল। কিন্তু, নবগ্রাম থেকে বহরমপুরের দূরত্ব তো কম নয়। প্রতিদিন বাড়ি থেকে কলেজে আসা সম্ভব নয়। তাই শহরের সরকারি হস্টেলে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ওই কলেজ পড়ুয়া। হস্টেলে ঘরও পেয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু, সিনিয়র পড়ুয়াদের ব়্যাগিংয়ের কারণে থাকতে পারলেন না। মাত্র চার দিন হস্টেলে থেকেই বাড়ি ফিরতে হল কৃষ্ণনাথ কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র গোপাল মহলদারকে।
বহরমপুর শহরের ইন্দ্রপ্রস্ত এলাকায় রয়েছে কেন্দ্রীয় ছাত্রাবাস। হস্টেলটি সরকারি। শুধু কৃষ্ণনাথ কলেজই নয়, শহরের যেকোনও কলেজের পড়ুয়ারাই সেই হস্টেলে থাকতে পারেন। দিন চারেক আগে ওই হস্টেলে থাকতে এসেছিলেন প্রথম বর্ষের ছাত্র গোপাল মহলদার। তাঁর অভিযোগ, হস্টেলে আসার পর থেকেই নানাভাবে অত্যাচার করছেন সিনিয়র পড়ুয়ারা। কখনও হাসতে বলা হচ্ছে তো কখনও আবার ঘড়ি ধরে দশ মিনিট কাঁদতে বলা হয়েছে। রাজি না হলে এক পায়ে দাঁড়িয়ে থাকতে বাধ্য করেছেন দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়ারা। এমনকী, চলেছে মানসিক অত্যাচারও। সিনিয়র ছাত্রদের ব়্যাগিং সহ্য করতে না পেরে বৃহস্পতিবার হস্টেল ছেড়ে চলে গিয়েছেন গোপাল মহলদার। তবে দ্বিতীয় দুই পড়ুয়ার বিরুদ্ধে হস্টেল কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করেছেন ওই কলেজ পড়ুয়া। অভিযুক্ত দুই ছাত্রকে সরকারি হস্টেল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
[ ১০০ দিনের কাজ করতে গিয়ে বিপত্তি, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আহত ৭ শ্রমিক
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.