অর্ণব আইচ: লক্ষ্য সেই চিন। চিনের লাল সেনাকে রুখতে এবার সেজে উঠছে উত্তরবঙ্গের হাসিমারা। এই হাসিমারা এয়ারবেসেই তৈরি হতে চলেছে আধুনিক যুদ্ধবিমান ‘রাফালে’র ঘাঁটি। তার জন্য হাসিমারায় তৈরি হচ্ছে আরও শক্তপোক্ত রানওয়ে ও নতুন এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল (এটিসি)।
[ চিনের লালফৌজকে রুখতে এবার পানাগড়ে ঘাঁটি ব্রহ্মাস্ত্রসেনার]
বাংলার মাটিতে দাঁড়িয়ে চিনকে যৌথভাবে পেশিবহুল বাহু দেখাল ভারত ও আমেরিকা। পশ্চিম মেদিনীপুরের কলাইকুণ্ডার আকাশে দুই দেশের যৌথ উদ্যোগে চলছে ‘ডগ ফাইট’ আর ‘কমব্যাট’। কখনও রাতে তো আবার কখনও দিনে পানাগড় থেকে উড়ে আসা ভারতের সি ১৩০ জে সুপার হারকিউলিস ও মার্কিনি সি ১৩০ এইচ হারকিউলিস বিমান থেকে নেমে রানওয়ে বা এটিসি দখলের মতো ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইকে’র মহড়াও দিচ্ছেন ভারতীয় বায়ুসেনার কম্যান্ডো বাহিনী ‘গরুড়’। সঙ্গে রয়েছে মার্কিনি ‘ক্রাইসিস রেসপন্স গ্রুপ’ও। গত কয়েকদিন ধরে কলাইকুণ্ডাকে ঘিরে ২০০ কিলোমিটার পর্যন্ত আকাশপথে উড়ে যাচ্ছে মার্কিন যুদ্ধবিমান এফ ১৫ ও ভারতীয় যুদ্ধবিমান সুখোই ৩০, মিরাজ, জাগুয়ার। মার্কিন বায়ুসেনার কর্তা কর্নেল ড্যারিল ইনসলে জানিয়েছেন, ভারত ও মার্কিন সেনা সমানভাবেই মহড়া দিচ্ছে। তিন থেকে পাঁচ বছর অন্তর এই মহড়ার প্রয়োজন।
বায়ুসেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তরবঙ্গে জঙ্গলঘেরা বায়ুসেনা ঘাঁটি হাসিমারা চিন সীমান্তের খুব কাছে। এই ঘাঁটি থেকে মিনিট দশেকের মধ্যে চিনের সীমান্তে পৌঁছে যাবে আধুনিক যুদ্ধবিমান ‘রাফালে’। প্রয়োজনীয় অপারেশন সেরে ফের চলে আসতে পারবে হাসিমারায়। আর ওই বায়ুসেনা ঘাঁটিকে সাহায্য করবে অসমের ছাবুয়া, বর্ধমানের পানাগড় ও মেদিনীপুরের কলাইকুণ্ডা যুদ্ধবিমান ঘাঁটি। তাই হরিয়ানার আম্বালার পর হাসিমারাকেই ‘রাফালে’র দ্বিতীয় ঘাঁটি হিসাবে বেছে নেওয়া হয়েছে। বিমান রাখার জন্য তৈরি হচ্ছে অত্যাধুনিক ‘হ্যাঙ্গার’ ও ‘পেন’। এই ‘হ্যাঙ্গার’-এ সুখোই ৩০ ও রাফালে দুই ধরনের বিমানই রাখা যাবে। আবার মাটির তলায় ‘রাফালে’ বিমান রাখার জন্য আধুনিক ‘পেন’ও তৈরি করা হচ্ছে হাসিমারায়। বানানো হচ্ছে অত্যাধুনিক মিসাইল মজুত করার অস্ত্রঘর। রাফালে বিমানের অতিরিক্ত অংশ মজুত রাখার ব্যবস্থাও থাকছে। রানওয়ে ও টারম্যাক হচ্ছে আরও শক্তপোক্ত। একটি নুড়িও যাতে রানওয়েতে পড়ে না থাকে, সেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এই আধুনিকীকরণের জন্য চেষ্টা হচ্ছে, যতটা সম্ভব কম গাছ কাটার। কারণ সেনাকর্তাদের মতে, বায়ুসেনা ঘাঁটি রক্ষার জন্য ‘প্রাকৃতিক ক্যামোফ্লেজ’ অত্যন্ত প্রয়োজনীয়, যাতে স্যাটেলাইট ছবি দেখেও জঙ্গলের আড়ালে ঘাঁটিতে হ্যাঙ্গার, পেনের হদিশ না পাওয়া যায়। অসমের তিনজেনে অতি শক্তিশালী র্যাডার রয়েছে। হিমালয়ের বেশ কিছু গোপন জায়গায় চিনা বিমান ও হেলিকপ্টারের সন্ধানেও র্যাডার বসিয়েছে বায়ুসেনা।
ছবি: শুভাশিস রায়
[থ্যালাসেমিয়া মুক্ত সমাজ গড়তে লড়ছেন ‘এক টাকার মাস্টারমশাই’ ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.