গোবিন্দ রায়: পেটের তাগিদে কাজে গিয়ে ইটভাটার চিমনি ভেঙে চারজনের প্রাণহানি। নিহতদের মধ্যে দুজন উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। বাকিরা স্থানীয়। বসিরহাটের ধলতিথা গ্রামের এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্নচিহ্নের মুখে শ্রমিকদের নিরাপত্তা। গাফিলতিতেই কী মৃত্যু হল তাঁদের? দুর্ঘটনার দায় নেবে কে? উঠছে প্রশ্ন।
বসিরহাটে অন্ততপক্ষে এক হাজারটি ইটভাটা রয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, ভিনরাজ্য থেকে আসা বেশিরভাগ মানুষই এই ইটভাটায় কাজ করেন। দিনের পর দিন উৎপাদন হত্তয়া সত্ত্বেও ইটভাটায় শ্রমিক সুরক্ষায় কোনও নজর দেওয়া হয় না। তার ফলে একাধিকবার দুর্ঘটনা ঘটে। কিন্তু হুঁশ ফেরে না মালিকপক্ষের।
প্রসঙ্গত, বুধবার ইটভাটায় ফায়ারিংয়ের কাজ চলার সময় চিমনি ভেঙে পড়ে। দুর্ঘটনায় হাফিজুল মণ্ডল, জেঠুরাম ও রাকেশ কুমারের মৃত্যু হয়। পরে আরও এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়। এখনও বসিরহাট হাসপাতালে ভর্তি অন্তত ১৫ জন। কলকাতার আর জি কর হাসপাতালে এখনও চিকিৎসাধীন ৫ জন। এই ঘটনার পর থেকে এখনও থমথমে ধলতিথা। চার শ্রমিকের প্রাণহানিকে কেন্দ্র করে যাতে কোনও উত্তেজনা ছড়াতে না পারে তাই গ্রামে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.