সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর ‘হামলা’! ‘ইচ্ছাকৃতভাবে তাঁকে ধাক্কা দেওয়ার চেষ্টা! এমনকী মুখ্যমন্ত্রীর কর্মসূচিতেও ছিল না রাজ্য পুলিশ। নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আঘাত পাওয়া নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠছে। বড়সড় প্রশ্ন উঠছে খোদ রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের নিরাপত্তা নিয়ে।
ঠিক কী হয়েছিল নন্দীগ্রামে? এদিন সকালে মনোনয়নপত্র দাখিল করার পর নন্দীগ্রামে একাধিক মন্দির দর্শনের কর্মসূচি ছিল মমতার। এদিন বিকেলে নন্দীগ্রাম এলাকায় মোট ৮টি মন্দির দর্শন করেন তিনি। মন্দির দর্শনের পর নন্দীগ্রামের রানিচকে একটি হরিণাম সংকীর্তনের অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি। স্বভাবসিদ্ধভাবে হরিনামের অনুষ্ঠানে সাধারণ মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ করতে দেখা যায় মমতাকে। সেখান থেকে তিনি রওনা দেন বিরুলিয়ার উদ্দেশে। রাস্তায় রীতিমতো অসুস্থ বোধ করতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে। তাঁর পায়ে চোট লাগে। মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন, বিরুলিয়ার কাছে গাড়ি দাঁড় করিয়ে একটি মন্দিরে প্রণাম করার চেষ্টা করছিলেন তিনি। সেসময় চার-পাঁচজন ইচ্ছাকৃতভাবে তাঁর গাড়ির দরজা বন্ধ করে দেয়। সেসময় মুখ্যমন্ত্রীর পা বাইরের দিকে ছিল। দরজার ধাক্কায় পায়ে আঘাত পান তিনি। তাঁর পা ফুলে যায়। প্রথমে কিছুটা সামলে নেওয়ার চেষ্টা করেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু কিছুক্ষণ পরই যন্ত্রণায় কাতর হয়ে যান তিনি। তাঁর পা ফুলে যায়। পায়ে ব্যান্ডেজ বাঁধতে হয়। প্রথমে কিছুক্ষণ বসে থাকার চেষ্টা করলেও, শেষপর্যন্ত বসে থাকতে পারেননি। কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁকে শুইয়ে দেওয়া হয়।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী নিজের কর্মসূচি বাতিল করে আজই কলকাতায় ফিরছেন। তাঁকে গ্রিন-করিডোর করে শহরে আনা হচ্ছে। এসএসকেএমের অর্থপেডিক বিশেষজ্ঞরা তাঁকে দেখবেন। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রীর মতো ভিভিআইপির নিরাপত্তায় এত বড় গলদ হল কীভাবে? মুখ্যমন্ত্রী এমনিতে জেড ক্যাটেগরির নিরাপত্তা পেয়ে থাকেন। তাঁকে তাঁর নিজস্ব নিরাপত্তারক্ষীরা ঘিরে থাকেন। সেই সঙ্গে স্থানীয় পুলিশেরও থাকার কথা। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, এদিন তাঁর কর্মসূচি চলাকালীন স্থানীয় কোনও পুলিশ ছিল না এবং তাঁকে চক্রান্ত করে ধাক্কা দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর এই অভিযোগ যদি সত্যি হয়ে থাকে, তাহলে এক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে রীতিমতো প্রশ্ন তুলতে হয়। কারণ, এই মুহূর্তে রাজ্যের নিরাপত্তার দায়িত্ব পুরোপুরি কমিশনের উপর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.