ফাইল ছবি
সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: রাজ্যে এখনও চোখ রাঙাচ্ছে করোনা (Coronavirus)। তবে আতঙ্কের মাঝেও সুখবর। পুরুলিয়ায় কোভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। দেবেন মাহাতো গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের হাতোয়াড়া ক্যাম্পাসের কোভিড ওয়ার্ড রোগীশূন্য। এদিকে, পুরুলিয়ায় প্রথম ধাপে প্রথম সারির প্রায় ১৭ হাজার কোভিড যোদ্ধাদের টিকা দেবে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই সেই টিকা বা ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজে চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিয়েছে পুরুলিয়া জেলা প্রশাসন। পুরুলিয়ায় জেলা স্তর ছাড়াও ব্লকেও শিবির করে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।
গত এক মাসে কোভিডের নয়া স্ট্রেন নিয়ে নতুন করে আইসিএমআর (ICMR) চিন্তিত। তারই মধ্যে ঝাড়খণ্ড লাগোয়া এই জেলায় লন্ডন থেকে এসেছেন সাতজন। তবে আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে তাঁরা কেউই করোনা আক্রান্ত নন। তবুও ১৪ দিন তাঁদের হোম আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অনিল কুমার দত্ত বলেন, “ভ্যাকসিন এখনও জেলায় এসে পৌঁছায়নি। তবে পুরুলিয়া জেলা প্রশাসন একেবারে প্রস্তুত।” প্রথম সারির যে ১৭ হাজার কোভিড যোদ্ধাকে টিকা দেওয়া হবে তাঁদের নাম, ঠিকানা রাজ্যের কাছে ইতিমধ্যেই চলে গিয়েছে। এই দীর্ঘ তালিকায় চিকিৎসক, সেবিকা-সহ স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের স্বাস্থ্যকর্মীরা রয়েছেন। আছেন আশাকর্মী থেকে এএনএম নার্সও। কীভাবে এই টিকা দেওয়া হবে সে বিষয়ে স্বাস্থ্যভবন থেকে প্রশিক্ষণও নিয়ে নিয়েছেন অভিজ্ঞরা।
এদিকে এই জেলার অস্থায়ী কোভিড হাসপাতাল (Covid Hospital) স্থানান্তরিত হয়েছে। দেবেন মাহাতো গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের হাতোয়াড়া ক্যাম্পাসে স্থায়ীভাবে কোভিড ওয়ার্ড গড়া হয়েছে। সেখানে ৯৩টি শয্যা রয়েছে। বর্তমানে একজন কোভিড রোগীও নেই। পুরুলিয়া জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর জানিয়েছে, এই জেলায় কোভিড পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। ফলে একাধিক সেফ হাউস এখন তুলে দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসনের ধারাবাহিক তদারকিতেই এই সাফল্য মিলেছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.