ছবি: প্রতীকী।
সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: ৫ আগস্ট বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাও কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। এবার তার পালটা কর্মসূচি নিল পুরুলিয়া জেলা বিজেপি। একই তারিখে রাত ৮টা থেরে পরদিন সকাল ৬টা পর্যন্ত তৃণমূল নেতাদের বাড়িতে ঢুকতে না দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন পুরুলিয়া জেলা বিজেপির সম্পাদক আবদুল আলিম আনসারির। যা শুনে জেলা তৃণমূলের বার্তা, রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করা হবে। সবমিলিয়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের হুঁশিয়ারি ঘিরে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি।
শনিবার পুরুলিয়া জেলা বিজেপির সম্পাদক ভিডিও বার্তায় নতুন কর্মসূচির কথা জানান। তাঁর কথায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ভেবেছেন রাজ্যে বিজেপি দুর্বল হয়ে গিয়েছে। ছাপ্পা করে, রিগিং করে ওঁরা ভোটে জিতেছে। এখন ব্যক্তি আক্রমণের রাজনীতি করছেন। আবদুল আলিম আনসারির আরও দাবি, “রাজনীতি করলে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে করা উচিত। বিজেপি গায়ের জোর দেখালে এলাকার আইনশৃঙ্খলা নষ্ট হবে।” এরপরই তৃণমূলের পালটা কর্মসূচি নিয়েছে জেলা বিজেপিও। ৫ তারিখ রাত ৮টা থেকে পরদিন ভোর ৬টা পর্যন্ত পুরুলিয়ায় তৃণমূল নেতাদের বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হবে না বলেও জানিয়েছেন বিজেপি নেতা।
এ প্রসঙ্গে পুরুলিয়া জেলা তৃণমূলের সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া বলেন, “আমাদের নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় প্রকল্পের বকেয়া টাকা আদায়ের জন্য বিজেপি নেতাদের প্রতীকি ঘেরাও-র কথা বলেছেন। পুরুলিয়া জেলা বিজেপি-এর ভুল ব্যাখ্যা দিচ্ছে। বিজেপি যে কর্মসূচির কথা বলেছে তা আমরা রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করব।”
একুশের মঞ্চে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক দুটি কর্মসূচি ঘোষণা করেন। প্রথমটি, দিল্লি চলোর ডাক। আগামী ২ অক্টোবর গান্ধী জয়ন্তীতে রাজধানী অভিযান করবে তৃণমূল (TMC)। আর দ্বিতীয়টি হল বিজেপি (BJP) নেতাদের ঘেরাও অভিযান। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, আগামী ৫ আগস্ট কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপ যত বিজেপি নেতাকর্মী আছেন, তাঁদের বাড়ির বাইরে ঘেরাও অভিযান করবেন তৃণমূল কর্মীরা। ব্লক স্তর থেকে শুরু করে বুথ স্তর পর্যন্ত, ছোট, বড়, মেজো সব বিজেপি নেতার বাড়ি ঘেরাও করা হোক। অভিষেকের বক্তব্য ছিল, ওই বিজেপি নেতার বাড়ির কোনও বয়স্ক সদস্য থাকলে তাঁরা যাতায়াত করতে পারবেন। কিন্তু ওই বিজেপি নেতা যেন বাড়ি থেকে বেরতে না পারে। কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপ ৩৪১ ব্লকের সব বুথে এই কর্মসূচি চেয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। যদিও পরে সেই কর্মসূচি কিছুটা শুধরে দেন তৃণমূল সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানান, “অভিষেক যে কর্মসূচির কথা বলেছে, সেটা আমি বলব শুধু ব্লক স্তরেই করো। বিজেপি নেতাদের বাড়ি থেকে অন্তত ১০০ মিটার দূরত্ব রেখে করো। যাতে যাতায়াতে অসুবিধা হয়। যাতে কেউ বলতে না পারে আমাদের হ্যারাস করা হয়েছে।” মমতার কথায়, ‘ওটা প্রতীকী ঘেরাও হোক।’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.