তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু। নিজস্ব চিত্র।
সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: ঝালদায় খুন হওয়া কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দুর রহস্যমৃত্যু। তিনিও কংগ্রেসের কাউন্সিলর ছিলেন। শুক্রবার, মহানবমীর রাতে নিজের বাড়িতে অচৈতন্য অবস্থায় পড়েছিলেন তিনি। পরে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের আনা হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। উৎসবের মাঝে পূর্ণিমা কান্দুর মৃত্যুর ঘটনায় পুরুলিয়ার রাজনৈতিক মহলে জল্পনা শুরু হয়েছে।
পূর্ণিমাদেবী ঝালদা শহরের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলর ছিলেন। স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাত পৌনে ১১টা নাগাদ ঝালদা শহরের স্টেশন রোডের বাড়ি থেকে অচৈতন্য অবস্থায় পূর্ণিমাদেবীকে ঝালদা ১ ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আনা হয়। তৎক্ষণাৎ চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করে। খবর পেয়ে দ্রুত স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আসেন পুরুলিয়া জেলা কংগ্রেস সভাপতি নেপাল মাহাতো-সহ দলীয় নেতৃত্ব। ঘটনা প্রসঙ্গে নেপাল মাহাতো বলেন, “কী করে মৃত্যু হয়েছে আমিও জানি না। সন্ধে অবধি ভালো ছিল বলেই শুনেছি। ওর ছেলেমেয়েরা বাইরে ছিল। এসে দেখে মারা গিয়েছে। স্বাস্থ্যকেন্দ্রে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছে বলেই চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। তবে কীভাবে মৃত্যু হল, তা নিয়ে ডাক্তারও কনফিউজড। কারণ জানতে ময়নাতদন্ত করা হবে। তার পরই আসল কারণ জানা যাবে।”
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ১৩ মার্চ বিকেলে হাঁটতে গিয়ে ঝালদা-বাঘমুন্ডি সড়কপথে গোকুলনগর গ্রামের কাছে আততায়ীদের গুলিতে খুন হন ঝালদা পুরসভার দু’নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু। এই ঘটনার পরেই তোলপাড় হয়ে যায় রাজ্য রাজনীতি। তদন্তে নামে রাজ্য পুলিশের সিট থেকে সিবিআই। ৭ জন গ্রেপ্তারও হয়। মামলাটি আপাতত বিচারাধীন। তার পর অনেক জল গড়িয়েছে। বার বার রং বদলেছে ঝালদার পুর রাজনীতি। আর এই রংবদলের খেলার অন্যতম কারিগর ছিলেন পূর্ণিমাও। পুরুলিয়ার কংগ্রেস শিবিরের ‘লড়াকু’ নেত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াল। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে মৃত্যুর তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.