সৈকত মাইতি, তমলুক: প্রভাবশালী তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে বিদ্যুৎ চুরির অভিযোগ। পুলিশের দ্বারস্থ বিদ্যুৎ দপ্তর। বিষয়টি জানাজানি হতেই প্রবল চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে পূর্ব মেদিনীপুরের(Purba Medinipur) শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের আলুয়াচক এলাকায়। রাজনৈতিক মহলে তীব্র শোরগোল। অভিযুক্ত ঐ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে সোশাল মিডিয়া জুড়ে কটাক্ষের বন্যা।
বিষয়টা ঠিক কী? স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তমলুকের শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের খারুই ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত আলুয়াচকে দোতলা একটি পাকা বাড়ি রয়েছে। যার মালিক স্থানীয় ব্লক তৃণমূল নেতা সুনীল দেব অধিকারী। যিনি ওই এলাকার প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্যও। স্ত্রী নীলিমা দেব অধিকারীও পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ দপ্তরের কর্মাধ্যক্ষ ছিলেন। ওই নেতার বিরুদ্ধে বিদ্যুৎ চুরির অভিযোগ উঠেছিল আগেই। স্থানীয়দের দাবি, নিজের প্রভাবশালী তকমাকে কাজে লাগিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই একেবারে প্রকাশ্যে বাড়ির সামনে রাস্তার লাইন থেকে হুক করে বিদ্যুৎ চুরি করতেন সুনীল। অভিযোগ পেয়ে দিন দুয়েক আগেই ওই এলাকায় অতর্কিতে হানা দেয় বিদ্যুৎ দপ্তরের আধিকারিকরা। হাতেনাতে ধরা পড়ে যান ওই নেতা। এমন অবস্থায় বিদ্যুৎ চুরির অভিযোগে তমলুক থানায় ওই নেতার নামে এফ আই আর দায়ের করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আধিকারিকেরা।
সোশাল মিডিয়া জুড়ে সেই খবর ছড়িয়ে পড়তে রাজনৈতিক মহলেও তীব্র গুঞ্জন শুরু হয়েছে। জেলা পরিষদের বিরোধী দলনেতা তথা ওই এলাকার স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব বলেন, তৃণমূল মানেই যে চোর সেটা আরো একবার প্রমাণ হল। ওই নেতা নিজের ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই বিদ্যুৎ চুরি করতেন। স্থানীয় মানুষজন সবকিছু জানলেও ওই নেতার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে পারতেন না। কিন্তু এখন এফ আই আর দায়ের হওয়ায় দিনের আলোর মতোই প্রকাশ্যে চলে এসেছে গুরুতর এই অভিযোগ। যদিও এই অভিযোগ উড়িয়েছেন অভিযুক্ত ওই তৃণমূল নেতা। তিনি বলেন, “আমাকে চক্রান্ত করে ফাঁসানো হয়েছে। এই বিদ্যুৎ চুরির সঙ্গে আমার পরিবারের কেউ যুক্ত নয়। এ বিষয়ে তমলুক থানার আইসি সুভাষচন্দ্র ঘোষ জানিয়েছেন, দপ্তরের পক্ষ থেকে বিদ্যুৎ চুরির অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.