Advertisement
Advertisement
Cyclone Dana

শক্তি বাড়াচ্ছে ‘ডানা’, উত্তাল হচ্ছে সমুদ্র! সর্তক পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন

দিঘায় পর্যটকদের সমুদ্রস্নানে নামতে দেওয়া হচ্ছে না বলেই খবর।

Cyclone Dana: Purba Medinipur district administration alert to deal with Dana

প্রশাসনের তরফে শুরু হয়েছে সর্তকতামূলক প্রচার।

Published by: Subhankar Patra
  • Posted:October 22, 2024 2:15 pm
  • Updated:October 22, 2024 4:18 pm

রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: বৃহস্পতিবার রাত ও শুক্রবার ভোরের মধ্যে যেকোনও সময় স্থলভাগে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’। ওড়িশার পুরী ও বাংলার সাগরদ্বীপের মাঝে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। ঘূর্ণিঝড়ের জেরে পূর্ব মেদিনীপুরের উপকূলীয় এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা। আজ, মঙ্গলবার থেকেই জলোচ্ছ্বাস দিঘার সমুদ্রে। প্রশাসনের তরফে শুরু হয়েছে সর্তকতামূলক প্রচার।

২৩ ও ২৪ অক্টোবর ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে পূর্ব মেদিনীপুর জেলাজুড়ে ভারী ও অতিভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে। তাই জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নদী ও সমুদ্রবাঁধের উপর নজরদারি চালানোর জন্য সেচদপ্তরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি ব্লকে ত্রাণসামগ্রী মজুত রাখার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে জেলা প্রশাসন। পরিস্থিতি বিবেচনা করে স্থানীয়দের সরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।

Advertisement

সেক্ষেত্রে উপকূলবর্তী এলাকার ৬০টি মাল্টি পারপাস সাইক্লোন শেল্টার-সহ স্কুল ভবন নিয়ে প্রায় ৫০০টি ত্রাণ শিবির খোলার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই জেলা বিপর্যয় ব্যবস্থাপন অফিসে ২৪ ঘণ্টার কন্ট্রোল রুম চালু হয়েছে। দিঘা, মন্দারমণি, তাজপুর, শংকরপুর, দত্তপুর, জলধা-সহ উপকূলীয় এলাকার মানুষদের সতর্ক করতে মাইকিং শুরু হয়েছে। সোমবার থেকে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রশাসন।

আমফান, যশ, একের পর এক ঘূর্ণিঝড়ে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয় হলদিয়া, দিঘার উপকূলে। তাই ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে আগাম সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করছে জেলা প্রশাসন। ইতিমধ্যেই জেলা প্রশাসন তিন কোম্পানির এনডিআরএফ কর্মী চেয়েছে।

পাশাপাশি, চার মহকুমা শাসক এবং ২৫টি ব্লকের বিডিওকে সতর্ক করা হয়েছে। সব জায়গায় পর্যাপ্ত ত্রাণসামগ্রী মজুত রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুজোর ছুটির মধ্যে এমনিতেই দিঘায় পর্যটকদের ভিড় রয়েছে। পর্যটকদের সমুদ্রস্নানে নামতে দেওয়া হচ্ছে না বলেই খবর। দুর্যোগের মধ্যে যাতে কোনও অঘটন না ঘটে, সে জন্য সতর্ক প্রশাসন। দিঘায় আসা এক পর্যটক চঞ্চল সরকার বলেন, “আমাদের জলে নামতে দেওয়া হচ্ছে না। নামার পরিস্থিতি নেই বলেই মনে হচ্ছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে জলোচ্ছ্বাস বাড়ছে।” 

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement