Advertisement
Advertisement

Breaking News

জামাইবাবুর হয়ে আদালতে প্রক্সি? বাবার নামেই ধরা পড়ল শ্যালক

এমনও হয়!

‘Proxy witness’ appeared in Burdwan Court
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:July 7, 2018 8:25 pm
  • Updated:July 7, 2018 8:25 pm  

সৌরভ মাজি, বর্ধমানস্কুল কলেজে প্রেম, আড্ডা বা সিনেমা দেখতে গেলে চুক্তি ভিত্তিতে প্রক্সি দেওয়ার চল রয়েছে। স্কুলে তেমনভাবে দেখা না গেলেও কলেজে এই ঘটনা হামেশাই ঘটে। অনেকটা গিভ অ্যান্ড টেক পলিসি বলতে পারেন। তবে তাই বলে বিচারকের এজলাসে প্রক্সি? এমন ঘটনা শুনেছেন কখনও? না শুনলেও এবার প্রত্যক্ষ করুন। এমনটাই ঘটেছে বর্ধমানের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে। জামাইবাবুর হয়ে প্রক্সি দিতে এসে ধরা পড়লেন শ্যালক। শুক্রবার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল বর্ধমান আদালত চত্বরে।

[পাথরপ্রতিমায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু দম্পতির, বাঁচাতে গিয়ে আহত ছেলে]

জানা গিয়েছে, মেমারির কালিবেল এলাকার বাসিন্দা অর্জুন বাগচী ওরফে ভীমের বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। এলাকায় অশান্তি বাধানোতে সে সবসময় এগিয়েই থাকে। খবর ছিল খুব শিগগির ফের অশান্তি বাধানোর সুযোগ খুঁজছে ভীম। সেইমতো ভীমের বিরুদ্ধে সিআরপিসি ১০৭ ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ। বর্ধমানের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে শুক্রবার সেই মামলার শুনানি ছিল। বলা হয়েছিল, আদালতে সশরীরে হাজির থেকে জামিন নেবে ভীম। সঠিক সময়ে শুরু হল শুনানি। এজলাসে ভীমও এল। বিচারকের প্রশ্নের জবাবে নিজের নাম বললেও বাবার নামেই আটকে গেল জিভ। বেশ খানিক্ষণ তোতলানোর পর থেমে গেল অভিযুক্ত। সরকারি পক্ষের উকিলের সন্দেহ হতেই ভীমকে চেপে ধরা হয়। লাগাতার প্রশ্নবাণে জর্জরিত ভীম একটা সময় ভেঙে পড়ে। জানায় সে ভীম নয়, ভীমের শ্যালক অজিত বিশ্বাস।

Advertisement

[দক্ষিণ দিনাজপুরে এবার সরকারি বিএড কলেজ তৈরিতে উদ্যোগী উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদ]

মেমারির বাগিলার বাসিন্দা অজিত এদিন জামাইবাবুর হয়েই আদালতে প্রক্সি দিতে এসেছিল। এজলাসে প্রথম থেকে সব ঠিকই ছিল। তবে বিচারক আসন নিতেই তার ধুকপুকানি শুরু হয়। নির্বিঘ্নে নিজের নাম বললেও বাবার নামে আটকে যায় গলা। আসলে জামাইবাবুর বাবার নাম কিছুতেই মনে আসছিল না। ততক্ষণে আদাতে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। সরকারি আইনজীবীও প্রশ্ন শুরু করেছেন। জিজ্ঞাসু চোখে তাকিয়ে আছেন ম্যাজিস্ট্রেট। এমন সময় জেরার মুখেই ভেঙে পড়ে অজিত। তখনই স্বীকার করে নেয়, জামাইবাবু ভীমের হয়ে প্রক্সি দিতেই কোর্টে এসেছে সে। এদিকে অভিযুক্তের হয়ে এজলাসে আসায় অজিতের বিরুদ্ধে বর্ধমান থানায় অভিযোগ দায়ের করেন সরকারি আইনজীবী। সন্ধ্যায় অজিতকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। কলেজে প্রিয় বন্ধুর প্রেম বাঁচাতে প্রক্সি দেওয়াটা প্রায় শিল্পের পর্যায়ে পৌঁছেছে। সেখানে জামাইবাবুকে বাঁচাতে শ্যালকের এতবড় আত্মত্যাগ ভাবা যায়!

ছবি :মুকুলেসুর রহমান

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement