দেবব্রত মণ্ডল, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ফের উত্তপ্ত ভাঙড়৷ গাছের গুঁড়ি ফেলে হাড়োয়া রোড অবরোধ করলেন জমি-জীবিকা-পরিবেশ-বাস্তুরক্ষা কমিটির সদস্যরা৷ ধৃত নকশাল নেতা অলীক চক্রবর্তীর মুক্তির দাবিতে শুক্রবার টায়ার জ্বালিয়ে পথ অবরোধে বসে পড়েন শ’দুয়েক গ্রামবাসী৷ পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর ভাঙড় জমি আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা নকশালপন্থী গণসংগঠন সিপিআইএমএল (রেড স্টার)-এর সদস্য অলীকের গ্রেপ্তারির ঘটনা নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে৷
ভাঙড় আন্দোলনের পর রাজ্যে দীর্ঘদিন আত্মগোপন করে থাকার পর ভিন্ রাজ্যে চিকিৎসা করাতে গিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যান ভাঙড় আন্দোলনের নেতা অলীক চক্রবর্তী৷ গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ভুবনেশ্বর হাসপাতাল চত্বর থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে ওড়িশা পুলিশ৷ জানা গিয়েছে, লিভারের চিকিৎসা করাতে গিয়ে সিপিআইএমএলের (রেড স্টার) এই নেতা যে ওড়িশায় গিয়েছেন, গোপন সূত্রে সে খবর পেয়েছিল রাজ্য পুলিশ৷ এ রাজ্যের পুলিশের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অলীক চক্রবর্তীকে গ্রেপ্তার করেছে পড়শি রাজ্যের পুলিশ৷ আজ ধৃত নেতাকে ওড়িশা আদালতে তোলা হয়েছে৷ অলীককে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে ইতিমধ্যেই ট্রানজিট রিমান্ডের আবেদন জানিয়েছে রাজ্য পুলিশ৷ পুলিশের এই আবেদন গৃহীত হলে আজ রাতেই তাঁকে রাজ্যে আনা হবে৷
গত প্রায় দেড় বছর ধরে পাওয়ার গ্রিড প্রকল্পের বিরোধিতা করে ভাঙড়ের জমি কামড়ে বসে ছিলেন অলীক৷ নকশাল এই নেতাকে ধরতে কম কাঠখড় পোড়াতে হয়নি পুলিশকে৷ অলীকের সঙ্গী শর্মিষ্ঠা চৌধুরির নাগাল পেলেও এতদিন তাঁকে ছুঁতেও পারেনি পুলিশ৷ পাওয়ার গ্রিডের বিরোধিতা করে ভাঙড়ের আগুন জ্বালানোর অভিযোগে জমি-জীবিকা-পরিবেশ-বাস্তুরক্ষা কমিটির মুখপাত্র অলীক চক্রবর্তীকে বিরুদ্ধে ইউএপিএ বা রাষ্ট্রদ্রোহিতা-সহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করে রাজ্য পুলিশ৷ জারি হয় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা৷ কিন্তু, অলীক চক্রবর্তীকে গ্রেপ্তার করা যায়নি৷ পুলিশের দাবি, গত দু’বছর ধরে ভাঙড়ের প্রত্যন্ত গ্রামে আত্মগোপন করেছিলেন তিনি৷ সেখানে অভিযান চালিয়ে নকশাল নেতাকে গ্রেপ্তার করা কার্যত অসম্ভব ছিল৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.