Advertisement
Advertisement

Breaking News

Shantiniketan

ফেন্সিংয়ের বিরোধিতা, সকাল থেকে ফের আন্দোলনে শান্তিনিকেতনের মেলামাঠ বাঁচাও কমিটি

চলছে মাইকিং, ফের অশান্তির আশঙ্কায় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।

Protest erupts at Visva Bharati University over boundary demarcation| Sangbad Pratidin
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:September 29, 2020 10:11 am
  • Updated:September 29, 2020 10:40 am  

ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বোলপুর: ফের অশান্তির আঁচ শান্তিনিকেতনে (Shantiniketan)। কেন্দ্রবিন্দুতে সেই পৌষমেলার মাঠ। কলকাতা হাই কোর্ট গঠিত কমিটির নির্দেশে সোমবার থেকে সেখানে ফেন্সিংয়ের কাজ শুরু হয়েছে। তার বিরোধিতায় মঙ্গলবার থেকে আন্দোলনে নামল মেলামাঠ বাঁচাও কমিটি। সকাল থেকে বোলপুর এলাকায় মাইকিং করে চলছে প্রচার। প্রতিবাদ চলছে বাউল গানে। মেলার মাঠ ঘেরার বিরুদ্ধে তাঁদের প্রতিবাদে শামিল করার আহ্বান জানাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দা ও বিশ্বভারতীর (Vishva Bharati) আশ্রমিকদের। এ নিয়ে আগের দিনের মতো ফের গুরুতর অশান্তির আশঙ্কা দেখা দিচ্ছে।

মাস খানেকেরও বেশি সময় ধরে সংবাদের শিরোনামে উঠে এসেছে শান্তিনিকেতনের পৌষমেলার মাঠ। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ মাঠটি ঘিরে ফেলতে চায়। পাঁচিল তোলার কাজ শুরু হতেই গত ১৭ আগস্ট তুমুল অশান্তির মুখে পড়তে হয় কর্তৃপক্ষকে। পে-লোডার দিয়ে তা ভেঙে দেওয়া হয়। অভিযোগ ওঠে স্থানীয় তৃণমূল নেতা নরেশ বাউড়ির বিরুদ্ধে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: এবার কয়লা উৎপাদনে আঘাত হানল করোনা, লক্ষ্যমাত্রা থেকে পিছিয়ে ইসিএল

এ নিয়ে জল গড়িয়েছে উচ্চ আদালত পর্যন্ত। রাজনৈতিক চাপানউতোরও কম হয়নি। সমস্যা সমাধানে কলকাতা হাই কোর্ট ৪ সদস্যের এক কমিটি তৈরি করে। শান্তিনিকেতনে সবপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসে সমাধানের গুরুদায়িত্ব পড়ে এই কমিটির উপর। কিন্তু আলোচনার টেবিলে মতৈক্য গড়ে তোলার কাজে ব্যর্থই হয় হাই কোর্ট গঠিত কমিটি। গত শনিবারও বৈঠকের পর তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেন সেখানকার ব্যবসায়ী সমিতি, স্থানীয় বাসিন্দারা।

ওই দিনের বৈঠকে হাই কোর্ট গঠিত কমিটির সঙ্গে আলোচনার পর অনেকেই অভিযোগ তুলেছিলেন যে মেলার মাঠ ঘিরে ফেলার পক্ষেই তাঁরা। এই মনোভাব পছন্দ হয়নি শান্তিনিকেতনের বাসিন্দাদের। সোমবার দেখা গেল, অভিযোগ অনেকাংশেই সত্যি। কারণ, হাই কোর্টের কমিটির তত্বাবধানেই মেলার মাঠে ফেন্সিংয়ের (Fencing) কাজ শুরু হয়েছে। এরপরই বিরোধিতা করে নিজেদের আন্দোলনের পরিকল্পনা করে মেলামাঠ বাঁচাও কমিটি।

[আরও পড়ুন: কৃষি আইনের বিরোধিতায় সরব সিঙ্গুর, লকেটের মিছিলে বাধা, উঠল গো ব্যাক স্লোগানও]

সেইমতো আজ সকাল থেকে বোলপুর এলাকায় মাইকিং করে পাঁচিল বিরোধিতায় তাদের তরফে প্রচার করা হয়। বীরভূমের জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে এ নিয়ে আবেদনপত্রও জমা দেওয়া হয়েছে বলে খবর। বেলার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের এই বিরোধিতা আরও কতটা জোরদার হবে, সেটাই দেখার বিষয়। এ নিয়ে বেশ চিন্তায় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। ১৪৪ ধারা জারি হতে পারে এলাকায়।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement