চঞ্চল প্রধান, নন্দীগ্রাম: আচমকা কাটা জলের পাইপ, বন্ধ জল সরবরাহ। নন্দীগ্রামের (Nandigram) মহম্মদপুর গ্রামের ঘটনায় উত্তেজনা। রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। কেন জল সরবরাহ বন্ধ করা হল, সেই প্রশ্ন তুলে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন তাঁরা। অন্যদিকে, পঞ্চায়েত প্রধানের দাবি, স্কুলের জন্য বসানো সাবমার্সিবল পাম্প (Sub-mersible pump) থেকে জল নেওয়ার জন্য আশপাশের বাড়ির কলের পাইপলাইন যুক্ত করা হয়েছে। তাতে স্কুলের জল সরবরাহ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাই বিডিওর সঙ্গে পরামর্শ করেই তিনি ওই পাইপলাইন বিচ্ছিন্ন করেছেন। এতে অন্যায় কিছু করেননি বলেই দাবি পঞ্চায়েত প্রধান শেখ হাবিবুলের।
নন্দীগ্রাম ১ নং ব্লকের মহম্মদপুর গ্রামে তারাচাঁদবাড় শিশুশিক্ষা কেন্দ্র। স্কুলের পড়ুয়াদের সুবিধার্থে এখানে একটি সাবমার্সিবল পাম্প বসানো হয়েছে। তবে স্থানীয় বাসিন্দারাও প্রয়োজনে এই জল ব্যবহার করতে পারে, তার অনুমতি দিয়েছিল স্কুল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু অভিযোগ, এই সাবমার্সিবল পাম্প থেকে জল নেওয়ার জন্য আশেপাশের বাড়িগুলি নিজেদের কলের পাইপলাইনের সঙ্গে সংযুক্ত (Connection) করেছে। তাতে ওই বাড়িগুলিতেই বেশি জল ব্যবহার করা হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে স্কুলের পড়়ুয়ারা।
এই খবর জানার পর তা স্থানীয় বিডিও (BDO) সুমিতা সেনগুপ্তর নজরে আনেন মহম্মদপুরে গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধান তথা শেখ সুফিয়ানের জামাই শেখ হাবিবুল। তিনি বিডিও-র সঙ্গে পরামর্শ করে ওই বাড়িগুলির কলের পাইপলাইন ও সাবমার্সিবল পাম্পের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। এরপর আজ সকাল থেকে জল না পেয়ে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন।
তাঁদের প্রশ্ন, ”আমরা ভোট দিয়েছি, তাহলে কেন জল পাব না?আমাদের ছেলেমেয়েদের কি জল ব্যবহার করার, জল খাওয়ার অধিকার নেই? কেন জল বন্ধ করে দেওয়া হল?” অন্যদিকে, পঞ্চায়েত প্রধান শেখ হাবিবুলের স্পষ্ট বক্তব্য, ”আমি পঞ্চায়েত প্রধানের আসনে যখন বসেছি, তখন আমার কাছে তৃণমূল, কংগ্রেস, বিজেপি, সিপিএম – এসব কিছু নেই। মানুষের জন্য কাজ করছি। জল তো সবাই ব্যবহার করতে পারে। কিন্তু নিজেদের বাড়িতে পাইপলাইন কানেক্ট করে নিজেদের কাজে কেন ব্যবহার করা হবে? আমি বিডিও-র সঙ্গে পরামর্শ করেই কানেকশন কেটে দিয়েছি।”
দেখুন ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.