রাজা দাস, দক্ষিণ দিনাজপুর : কুয়াশার জেরে দূরপাল্লার ট্রেনগুলি দেরিতে চলছে প্রায় রোজই। তার উপর আবার সোমবার আদিবাসীদের অবরোধে কার্যত থমকে গিয়েছিল ট্রেন পরিষেবা। তবে মঙ্গলবার রাজ্যের সর্বত্রই অবশ্য ট্রেন চলাচল স্বাভাবিকই ছিল৷ কিন্তু, দক্ষিণ দিনাজপুর বালুরঘাট স্টেশন থেকে তেভাগা এক্সপ্রেস ছাড়ল তিন ঘণ্টা দেরিতে৷ কারণ, সময়মতো ঘুমই ভাঙল না চালকের! খেপে আগুন যাত্রীরা৷ তেতাগা এক্সপ্রেসের চালককে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার দাবি তুলেছেন তাঁরা৷
[রেলের ক্যান্টিনে মদ্যপানের আসর টিকিট পরীক্ষকদের, তুলকালাম হাওড়ায়]
কাকভোরে হাড় কাঁপানো ঠাণ্ডা৷ রীতিমতো কাঁপতে কাঁপতে বালুরঘাটে স্টেশনে পৌঁছে গিয়েছিলেন যাত্রীরা৷ তখনও স্টেশনের টিকিট কাউন্টারটিও খোলেনি৷ কাউন্টার খোলার পর, টিকিট কেটে প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনে উঠে পড়েন তাঁরা৷ ভোরে সাড়ে পাঁচটা ট্রেন ছাড়ার কথা৷ কিন্তু, নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও, বালুরঘাট স্টেশন থেকে তেভাগা এক্সপ্রেসের ছাড়ার কোনও নামগন্ধ নেই! দীর্ঘসময় ট্রেনের কামরায় বসে থাকতে থাকতে একসময় ধৈর্য্যের ভাঙল যাত্রীদের৷ স্টেশনে নেমে হইহট্টগোল শুরু করেন তাঁরা। শেষপর্যন্ত রেলের তরফে ঘোষণা করা হয়, বিশেষ কারণে তেভাগা এক্সপ্রেস ছাড়তে দেরি হচ্ছে৷ তা বিশেষ কারণটি কী? জানা গেল, তখনও নাকি ঘুমই ভাঙেনি তেভাগা এক্সপ্রেসের চালকের৷ ‘কুম্ভকর্ণ’ চালকের ঘুম ভাঙাতে ছুটলেন রেলকর্মীরা। ঘুম থেকে উঠে যখন ট্রেন চালাতে শুরু করলেন চালক, তখন নির্ধারিত সময়ে থেকে আড়াই ঘণ্টা পেরিয়ে গিয়েছে৷ চালকের বাপ-বাপান্ত করতে শুরু করে দিয়েছেন যাত্রীরা৷ ওই চালককে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার দাবি তুলেছেন তাঁরা৷
[জি ডি বিড়লার ছায়া এবার হৃদয়পুরে, ফের ছাত্রী নিগ্রহে অভিযুক্ত শিক্ষক]
কিন্তু, কীভাবে ঘুমিয়ে পড়লেন তেভাগা এক্সপ্রেসের চালক? বালুরঘাটের দায়িত্বপ্রাপ্ত স্টেশন ম্যানেজার চন্দন কুমার ভাটের সাফাই, সোমবার ঝাড়খণ্ড দিশম পার্টির অবরোধে কারণে প্রায় সব ট্রেনই দেরি চলেছে৷ রাত ১১ টার ট্রেন বালুরঘাটে পৌঁছেছে ভোর ৩টের সময়৷ রেলের নিয়মে, একটি ট্রেন নিয়ে ফেরার পর, চালককে ৬ ঘণ্টা ঘুমোতে দিতে হয়৷ তাই তেভাগা এক্সপ্রেসের চালক ঘুমিয়ে পড়েছিলেন৷
[মাটিতেই জ্বলছে আগুন, দামোদরের চরে জমে উঠেছে পিকনিক
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.