Advertisement
Advertisement

Breaking News

Asansol

খারাপ ব্যবহারের প্রতিবাদ করতেই বাড়ল অত্যাচার! পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠলেন সদস্যরা

আসানসোলের রানিগঞ্জের তিরাট পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখান দলেরই সদস্য়রা।

Protest against panchayat Pradhan in Raniganj of Asansol
Published by: Subhankar Patra
  • Posted:May 16, 2024 8:46 pm
  • Updated:May 16, 2024 8:46 pm  

শেখর চন্দ্র, আসানসোল: পঞ্চায়েত প্রধান গ্রামবাসীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। পরিষেবা পেতে পোড়াতে হয় বিস্তর কাঠখড়। এমনকী পঞ্চায়েত অফিস খোলা হয় ইচ্ছামতো। এসব নানা অভিযোগে বৃহস্পতিবার পঞ্চায়েত অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। সঙ্গে ছিলেন দলেরই পঞ্চায়েত, জেলা পরিষদ সদস্যরা। যদিও নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান।

আসানসোলের রানিগঞ্জের তিরাট পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনের পর প্রধান হন সন্তোষ চট্টোপাধ্যায়। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, বিভিন্ন কাজ নিয়ে পঞ্চায়েত অফিসে গেলে খারাপ ব্যবহার করেন তিনি। ডেথ সার্টিফিকেট থেকে শুরু করে সাধারণ প্রয়োজনীয় পরিষেবা পাওয়া যাচ্ছে না। পঞ্চায়েত অফিস খোলার ক্ষেত্রেও গড়িমসি করা হচ্ছে। এবিষয়ে তাঁরা বিডিও অফিসেও অভিযোগও করেন। তা জানতে পেরে  নাকি আরও খারাপ ব্যবহার শুরু করেন প্রধান। তারই প্রতিবাদে এদিন পঞ্চায়েত অফিসের গেট বন্ধ করে দুঘণ্টা বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। সঙ্গে ছিলেন জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মধ্যক্ষ স্বরূপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও পঞ্চায়েত সদস্যরা।

Advertisement

[আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীকে ‘অশালীন’ আক্রমণ, ‘নারী বিদ্বেষী’ অভিজিতকে পালটা তোপ তৃণমূলের]

স্বরূপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এই পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে আমার কাছে অভিযোগ  আসছিল। বিভিন্ন শংসাপত্রের জন্য অনেকদিন ধরে ঘুরতে হয়। পঞ্চায়েত অফিস ঠিকমতো খোলা হয় না বলেও অভিযোগ পেয়েছি। বাসিন্দারা বিডিওকে বিষয়টি জানালে প্রধান আরও খারাপ ব্যবহার শুরু করে। তাই আমি এসেছি।” এক বিক্ষোভকারী বলেন, ” আমরা বিভিন্ন কাজ নিয়ে এসে ফিরে যাই। পঞ্চায়েত অফিস কোনও দিনই ঠিক সময়ে খোলে না। আমাদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয়। কেন এই সমস্যার মধ্যে পড়তে হবে। তাই আমাদের এই বিক্ষোভ।” যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করে পঞ্চায়েত প্রধান বলেন, “ইলেকশনের জন্য পঞ্চায়েতের সবাই ব্যস্ত রয়েছেন। যে শংসাপত্র নিয়ে অভিযোগ উঠছে, সেক্ষেত্রে আমি বলি একদিন পরে দেওয়া হবে। আজ একটা এলাকার বাসিন্দারা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। একটা জায়গা দেখে তো বিচার করা যাবে না। সব জায়গায় পরিষেবা ঠিক মতোই দেওয়া হচ্ছে। ভোট পেরিয়ে গেছে। সমস্যা কাটিয়ে আবার স্বাভাবিক ছন্দে  কাজকর্ম শুরু হবে।”

পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ নিয়ে আক্রমণ করতে ছাড়েনি বিজেপি। আসানসোল জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অভীককুমার মণ্ডল বলেন, “মানুষের কাজ করা নিয়ে এদের কোনও ইচ্ছা নেই। বালি, কয়লা পাচারের ভাগ কে কত নেবে তা নিয়ে দ্বন্দ্ব। ৪ তারিখে লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর তৃণমূল থাকবে না।”

[আরও পড়ুন: কাঁথি বিজেপিতে আদি-নব্য দ্বন্দ্ব চরমে, সৌমেন্দুর বিরুদ্ধে নির্দল প্রার্থী বিক্ষুব্ধ নেতা, সমর্থন হিন্দু মহাসভার]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement