সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ব্যক্তিগত শত্রুতাকে কাজে লাগিয়ে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ। টিটাগড়ের বিজেপি কাউন্সিলর মণীশ শুক্লা খুনের (Manish Shukla Murder Case) ঘটনায় এখন এই দুয়ের যোগসূত্র খুঁজে পাচ্ছেন তদন্তকারীরা। ধৃতদের জেরা করে আরও বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে। মণীশ শুক্লা হত্যা অপারেশন একেবারে সফলতার সঙ্গে ঘটাতে ভিন রাজ্য থেকে সুপারি কিলারদের ভাড়া করে আনা হয়েছিল বলে জানা যাচ্ছে। পাটনার সেন্ট্রাল জেলে বন্দি কুখ্যাত এক দুষ্কৃতীর সাহায্য নেওয়া হয়েছিল আগ্নেয়াস্ত্র এবং সুপারি কিলার ভাড়ার করার জন্য। এর জন্য দুবাই থেকে অর্থও এসেছিল। সবমিলিয়ে, মণীশ শুক্লা হত্যাকাণ্ডের তদন্তে পরতে পরতে খুলছে জট।
বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লা হত্যাকাণ্ডে এখনও পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি। তার মধ্যে অন্যতম মূল অভিযুক্ত ব্যবসায়ী মহম্মদ খুররম খান এবং তৃণমূল নেতা ঘনিষ্ঠ সুবোধ যাদবকে জেরা করে অনেক তথ্যই হাতে এসেছে বলে দাবি তদন্তকারীদের। খুররমের বাবার খুনের ঘটনায় মণীশের নাম উঠে আসা থেকেই প্রতিশোধস্পৃহার সূত্রপাত। সে-ই মূলত মণীশকে খুনের পরিকল্পনা করে। সূত্রের খবর, এই পরিকল্পনা তাকে সঙ্গ দেয় স্থানীয় প্রভাবশালী এক রাজনৈতিক নেতা। যদিও এই নেতার পরিচয় এখনও বিশদে জানতে পারেননি তদন্তকারীরা। এও জানা গিয়েছে যে এই হত্যাকাণ্ডের জন্য যে সুপারি কিলারদের ভাড়া করা হয়েছিল, তারা সকলে ভিনরাজ্যের, যাদের হদিশ এখনও মেলেনি।
মণীশ খুনের ‘ফুলপ্রুফ প্ল্যান’ করতে সাহায্য নেওয়া হয়েছিল কুখ্যাত এক দুষ্কৃতীর। সে নাকি সেন্ট্রাল জেলে বসেই ছক কষে দিয়েছিল। সেইসঙ্গে আগ্নেয়াস্ত্র সরবরাহ এবং সুপারি কিলারদের সঙ্গ যোগাযোগ করিয়ে দেওয়ার কাজও করেছিল সে-ই। এর সাহায্য নিয়েছিল মহঃ খুররম এবং ওই প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা। এই কাজের জন্য টাকা দেওয়ার ভার ছিল খুররমের উপর। সেই টাকা আবার দুবাই থেকে এসেছিল। এমনই সব বিস্ফোরক তথ্য জানতে পারছেন তদন্তকারীরা।
তবে সুপারি কিলারদের একজনেরও এখনও নাগাল পাওয়া যায়নি। সিআইডি আধিকারিকদের অনুমান, তাদের জালে আনতে পারলেই এই হত্যাকাণ্ডে দ্রুত কিনারা হয়ে যাবে। বোঝা যাবে মূল পাণ্ডা কে। ধৃতদের লাগাতার জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে সেই চেষ্টাই চলছে বলে সিআইডি সূত্রে খবর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.