Advertisement
Advertisement
বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়

মামুলি বিবাদের জেরে সহকর্মীকে কামড় অধ্যাপকের, শোরগোল বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে

ঘটনার তদন্তে কমিটি গঠন করেছেন উপাচার্য৷

Professor bites colleague at Burdwan University after brawl
Published by: Sayani Sen
  • Posted:July 6, 2019 11:01 am
  • Updated:July 6, 2019 11:02 am  

সৌরভ মাজি, বর্ধমান: চুলোচুলি, হাতাহাতি শোনা যায়। কিন্তু তাই বলে কামড়াকামড়ি কাণ্ড। এমনই আশ্চর্যজনক ঘটনা ঘটেছে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে। এমবিএ বিভাগের এক অধ্যাপক আরেক অধ্যাপকের হাতে কামড়ে দিয়েছেন। নিজেদের বিভাগের ভিতরেই এই ঘটনায় শোরগোল পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরে। ঘটনার বিষয়ে অভিযোগ পেয়েই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন উপাচার্য নিমাইচন্দ্র সাহা। নিন্দায় সরব হয়েছেন অনেকেই। এই ধরনের কাণ্ড পড়ুয়াদের কাছে অন্য বার্তা দেবে বলে মনে করছেন তাঁরা। খুবই লজ্জাজনক ঘটনা বলেও জানিয়েছেন তাঁরা।

[ আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্তের জেরে বৃষ্টির সম্ভাবনা, জলোচ্ছ্বাসে ভাসল দিঘা-শংকরপুর]

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন বিকেলের ঘটনার পরেই হাতে ব্যান্ডেজ বাঁধা অবস্থায় অধ্যাপক তন্ময় দাশগুপ্ত-সহ ওই বিভাগের কয়েকজন অধ্যাপক উপাচার্যর সঙ্গে দেখা করেন। তাঁরা বিভাগীয় প্রধান গৌতম মিত্রর বিরুদ্ধে নালিশ জানান উপাচার্যর কাছে। ঘটনার কথা শুনে ক্ষুব্ধ উপাচার্য। লিখিত অভিযোগ পেয়েই তিনি ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে দিয়েছেন তিনি। দুই ডিন ও দর্শন বিভাগের প্রধানকে নিয়ে এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। উপাচার্য জানিয়েছেন, ১০ জুলাইয়ের মধ্যে তদন্ত কমিটিকে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। রিপোর্ট পেলে তা কর্মসমিতির বৈঠকে আলোচনা করা হবে। তারপর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

[ আরও পড়ুন: আদালতেই ভাগ্য নির্ধারণ, বরাবাজার পঞ্চায়েত সমিতি কংগ্রেস-বিজেপি জোটের দখলেই]

এমবিএ বিভাগের অধ্যাপকরা উপাচার্যকে অভিযোগ জানিয়েছেন, শুক্রবার বিকেলের দিকে বিভাগীয় প্রধানের সঙ্গে প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধানের একটি বিষয়ে মতানৈক্য হয়। দু’জনের বচসাও বেঁধে যায়। অভিযোগ, সেই সময়ই তন্ময়বাবুর হাতে কামড়ে দেওয়া হয়। ছাড়াতে গেলে আরও একজন অধ্যাপক জখম হন। ঘটনায় ক্ষুব্ধ অধ্যাপকরা। এর আগেও এই বিভাগে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেছেন তাঁরা। অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উপাচার্যর কাছে দাবি জানিয়েছেন অধ্যাপকরা। বিভাগীয় প্রধান গৌতম মিত্র অবশ্য দাবি করেছেন, তাঁদের বিভাগ খুবই ভাল চলছে। আর রটনার দায় তিনি নেবেন না। কিন্তু যে লজ্জাজনক ঘটনা ঘটেছে তাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের গরিমা আরও একবার কালিমালিপ্ত হল বলেই মনে করছেন পড়ুয়া ও অধ্যাপকদের অনেকে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement