সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সিঙ্গুর নিয়ে ভরাডুবির পর এবার অধিগ্রহণ আইনকেই দোষারোপ করল বামেরা৷ সিপিএম পলিটব্যুরোর তরফে সাফাই দিয়ে জানানো হল, ১৮৯৪ সালের অধিগ্রহণ আইনেই কৃষকের স্বার্থ রক্ষিত ছিল না৷
সিঙ্গুরে টাটাদের কারখানার জন্য জমি অধিগ্রহণ যে অবৈধ ছিল, তা দ্বর্থ্যহীন ভাষায় জানিয়ে দিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত৷ প্রায় ১০০০ একর জমি কৃষকদের ফেরানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ সারা দেশে জমি রক্ষা আন্দোলনের ক্ষেত্রে এই রায়কে যখন নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত হিসেবে দেখানো হচ্ছে, তখন আইনকে ঢাল করেই মুখ বাঁচানোর প্রক্রিয়া শুরু করে দিল বামেরা৷ সিপিএম পলিটব্যুরোর তরফে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, সে সময়ের আইনেই কৃষকের স্বার্থ সঠিক ভাবে রক্ষিত ছিল না৷ আর অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে ওই আইন ব্যবহার করা ছাড়া দ্বিতীয় কোনও উপায়ও ছিল বলেও মত সিপিএম পলিটব্যুরোর৷ রাজ্যে শিল্প স্থাপন ও কর্মসংস্থানের লক্ষ্যেই এই কাজ শুরু হয়েছিল, কিন্তু প্রশাসনিক ভুল যে দলের জন্য ক্ষতিকর হয়েছিল তা ২০১১ সালে কেন্দ্রীয় কমিটির রিপোর্টেই স্বীকার করে নেওয়া হয়েছিল৷ বিবৃতিতে সে ভুল আবার স্বীকার করে নিয়েও, অধিগ্রহণ আইনকে সামনে রেখেই নিজেদের দোষ ঢাকল সিপিএম৷
এদিকে রাজ্য জুড়ে শ্রমিক সংগঠনের ধর্মঘটের দিনই শুরু হল সিঙ্গুরে জমি জরিপের কাজ৷ কৃষকদের জমি ফিরিয়ে দিতে শুরু হয়েছে প্রশাসনিক তৎপরতা৷ প্রস্তাবিত কারখানার দৌলতে সিঙ্গুরের যে জমি কংক্রিটের জঙ্গলে পরিণত হয়েছে, তা ভাঙতে কলকাতা পুরসভা সাহায্য করবে বলেও জানিয়ে দিয়েছেন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.