ছবি: প্রতীকী
রাজা দাস, বালুরঘাট: সরকারি বা সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা প্রাইভেট টিউশনি করতে পারবেন না। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় আন্দোলনে নেমেছেন গৃহশিক্ষকরা। তাঁদের দাবি, সরকারি স্কুলের শিক্ষিকরা চাকরির শর্ত মোতাবেক প্রাইভেট টিউশনি করতে পারেন না। সেই আইন কড়াভাবে প্রয়োগ করতে হবে জেলা প্রশাসনকে।
[ ‘ভূত’ তাড়াতে এসে ধর্ষণ তান্ত্রিকের, সংজ্ঞাহীন ছাত্রী]
মাস গেলে মোটা অঙ্কের বেতন পান। আবার স্কুলের সময়টুকু বাঁচিয়ে বাড়িতে কিংবা কোচিং সেন্টারে প্রাইভেট টিউশনিও করেন সরকারি স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা। স্কুলের যুক্ত থাকার কারণেই হোক কিংবা পড়ানোর গুণে, সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের কাছে ছেলে-মেয়ের প্রাইভেট পড়ানোর ঝোঁক থাকে অভিভাবকদেরও। কিন্তু, ঘটনা হল, চাকরির শর্ত অনুযায়ী, সরকারি স্কুলের শিক্ষকরা বাইরে কোথাও পড়াতে পারেন না। এমনকী, সরকারি শিক্ষকদের প্রাইভেট টিউশনি না করার পক্ষে রায় দিয়েছে আদালত। প্রথম যখন নিয়মটি চালু হয়, তখন শিক্ষকদের রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। অনেকেই রাতারাতি প্রাইভেট টিউশনি করা বন্ধ করে দিয়েছিলেন। কিন্তু, আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে পুরনো ব্যবস্থা ফের চালু হতেও বেশি সময় লাগেনি।
এদিকে সরকারি স্কুলে শিক্ষকদের রমরমার বাজারে বিপাকে পড়েছেন গৃহশিক্ষকরা। তাঁদের মাস মাইনের চাকরি নেই, ছাত্র পড়িয়ে জীবিকা নির্বাহ করতে হয়। এই পরিস্থিতিতে সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের প্রাইভেট টিউশন বন্ধের দাবিতে দক্ষিণ দিনাজপুরে লাগাতার আন্দোলনে নেমেছেন গৃহশিক্ষকরা। জেলায় নিজেদের একটি সংগঠন তৈরি করেছেন তাঁরা। দিন কয়েক আগে বালুরঘাট শহরে মিছিল করে জেলাশাসককে ডেপুটেশন দেন প্রায় দু’শো জন গৃহশিক্ষক। সরকারি শিক্ষকদের প্রাইভেট টিউশনি বন্ধ করার আশ্বাস দিয়েছেন জেলাশাসক। রবিবার সকাল থেকে আবার বালুরঘাট শহরের বিভিন্ন জায়গায় সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের কোচিং সেন্টারে গিয়ে প্রতিবাদ জানালেন গৃহশিক্ষকরা। এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের দাবি, তাঁরা প্রাইভেট টিউশনি করতে চান না। কিন্তু, অভিভাবকদের চাপেই স্কুলের বাইরেও ছাত্র পড়াতে হয়।
[ নিথর মা’কে জাগিয়ে তোলার চেষ্টা, বেদনার প্রতিচ্ছবি কাটোয়ায়]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.