দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: পুলিশ হেফাজতে এক বন্দির মৃত্যুর ঘটনা ঘিরে বিতর্কের মুখে নরেন্দ্রপুর থানা৷ পরিবারের অভিযোগ, গড়িয়ার (Garia) বাসিন্দা সুরজিৎ ওরফে সাহেব সর্দারকে মারধর করা হয়েছিল। তার জেরেই হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে ওই যুবকের। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে নরেন্দ্রপুর থানা। তাদের দাবি, অসুস্থ হয়েই মৃত্যু হয়েছে সাহেব সর্দারের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে উত্তেজনার পরিবেশ রয়েছে এলাকা। মৃতের পরিবার পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে জেলা পুলিশ সুপারের কাছে নরেন্দ্রপুর থানার (Narendrapur PS) তদন্তকারী অফিসারের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো হয়েছে।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সুরজিৎ ওরফে সাহেব সর্দার নামে ওই যুবককে গত ১৩ এপ্রিল দুপুরে বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে যায় নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ৷ কিন্তু কী কারণে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, সে বিষয়ে তাঁর পরিবারকে থানা কিছু জানায়নি বলে অভিযোগ। আর পুলিশ সূত্রে খবর, একাধিক চুরি, ছিনতাইয়ের অভিযোগ রয়েছে সাহেবের বিরুদ্ধে। নরেন্দ্রপুর ছাড়াও সোনারপুর (Sonarpur PS) থানাতেও রয়েছে একাধিক মামলা। সেসব মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ধৃত সাহেব নেশাগ্রস্ত ছিলেন বলে জানা গিয়েছে৷ দু’বার তাঁকে নেশামুক্তি কেন্দ্রে (Rehab centre) ভরতিও করা হয়েছিল। ১৩ তারিখ পুলিশ তাঁকে বাড়ির সামনে থেকে তুলে লকআপে বন্দি করার পর ২০ তারিখ সেখানেই অসুস্থ (Unwell) বোধ করেন সাহেব৷ প্রথমে তাঁকে সোনারপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ সেখানে অবস্থার অবনতি হলে, তাঁকে এমআর বাঙুর (MR Bangur) হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়৷ শুক্রবার সেখানেই মৃত্যু হয় ওই তাঁর৷
মৃতের দাদা সুব্রত সর্দারের অভিযোগ, থানার তরফে তাঁদের কাছ থেকে টাকা চাওয়া হয়েছিল৷ মোট ২০ হাজার টাকা দিয়েছেন তাঁরা। আরও টাকা চাওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ৷ পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে ভাইকে৷ একই কথা বলেন সাহেবের আরেক দাদা সুভাষ সর্দারও৷ তাঁরা এই ঘটনার যথাযথ তদন্ত দাবি করেছেন। এদিন স্বজনহারা পরিবারের পাশে দাঁড়াতে তাঁদের বাড়িতে যান কংগ্রেসের (Congress) রাজ্য সাধারণ সম্পাদক আশুতোষ চট্টোপাধ্যায়। পুলিশ লকআপে বন্দির মৃত্যু নিয়ে তিনিও প্রকৃত তদন্তের দাবি করেছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.