সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কলেজছাত্রীকে জাত তুলে অপমান করার অভিযোগ উঠল নন্দলাল বিএড কলেজের অধ্যক্ষা কল্যাণী সাহুর বিরুদ্ধে। এছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে কলেজেরই এক অধ্যাপিকাকে চড় মারার অভিযোগও উঠেছে। এই ইস্যুতে বৃহস্পতিবার কলেজ চত্বরে বিক্ষোভে শামিল হন পড়ুয়ারা। ওই ছাত্রী ও অধ্যাপিকার অভিযোগের ভিত্তিতে কলেজের অধ্যক্ষাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
অভিযোগ, কলেজ কর্তৃপক্ষ ফাইনাল ইয়ারের ছাত্রী গীতা মাহাতোর মার্কশিট আটকে দিয়েছিলেন। ওই ছাত্রী যখন তাঁর মার্কশিট আনতে যান, তখন তাঁকে জানানো হয়, কলেজে তাঁর টাকা বাকি আছে। সেটি না মেটালে মার্কশিট দেওয়া হবে না। গীতা এই অভিযোগ অস্বীকার করেন ও জানান, তাঁর কাছে টাকা মেটানোর রসিদ আছে। কলেজ কর্তৃপক্ষ চাইলে তিনি তা দেখাতেও পারেন। কিন্তু গীতার বক্তব্য মানতে চায়নি তারা। এরপর গীতা সরাসরি অধ্যক্ষা কল্যাণী সাহুর দ্বারস্থ হন। কিন্তু সেদিক থেকেও কোনও আশার ইঙ্গিত মেলে না। অধ্যক্ষাও গীতার কথা মেনে নিতে চাননি। অভিযোগ, তখনই নাকি তিনি গীতাকে জাত তুলে অপমান করেন। তাঁকে বলা হয়, তিনি এসসি (তফসিলি জাতি)। তাই কলেজের ব্যাপার বুঝবেন না।
এই সময়েই অধ্যক্ষার ঘরে ঢোকেন অধ্যাপিকা শান্তা মৌলিক। তিনি ঘরে ঢুকে বলেন গীতার সব টাকা মেটানো আছে। তাঁকে মার্কশিট দেওয়ার ব্যাপারে কোনও বাধা নেই। এরপরই অধ্যাপিকার গালে চড় মেরে দেন অধ্যক্ষা। শান্তা মৌলিকের অভিযোগ, গীতার সঙ্গে এর আগেও দুর্ব্যববহার করেছেন কল্যাণী সাহু। গীতার আর্থিক সম্বল তেমন নেই। তা সত্ত্বেও কলেজের টাকা বাকি রাখেননি। অথচ তাঁকেই মার্কশিট দেওয়ার ব্যাপারে গড়িমসি করছে কলেজ।
এদিকে শান্তা মৌলিককে চড় মারার পর প্রতিবাদে শামিল হন কলেজের অধ্যাপক-অধ্যাপিকা ও পড়ুয়ারা। শুরু হয়ে যায় বিক্ষোভ। পরিস্থিতি সামাল দিতে ভাটপাড়া থানা থেকে আসে পুলিশ। অভিযোগের ভিত্তিতে অধ্যক্ষাকে আটক করে তারা। পরে তাঁকে গ্রেপ্তারও করা হয়। কিন্তু কলেজে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ায় পুলিশ পিকেট বসানো হয়। অধ্যক্ষার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ চালাতে থাকে পড়ুয়ারা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.