সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুলিশ হেফাজতে প্রথম রাতেই জেরার মুখে ভেঙে পড়ল নিমতাকাণ্ডের মূলচক্রী প্রিন্স সিং। স্বীকার করে নিল খুনের কথা। শনিবার রাতভোর বেলঘড়িয়া থানায় জিজ্ঞাসাবাদের পরই দোষ স্বীকার করে মূলচক্রী। প্রাক্তন প্রেমিকার সঙ্গে দেবাঞ্জনের ঘনিষ্ঠতা ভালভাবে মেনে নিতে পারছিল না, তাই মাত্র ২ ঘণ্টাতেই খুনের ছক কষেছিল বলেই জানাল প্রিন্স।
দেবাঞ্জন খুনের পরই তাঁর মোবাইল উদ্ধার করেছিল পুলিশ। ওই মোবাইলের কললিস্ট পরীক্ষা করে পুলিশ বুঝতে পারে ত্রিকোণ প্রেমের জেরেই খুন হতে হয়েছে দেবাঞ্জনকে। এরপরই দেবাঞ্জনের বান্ধবীর প্রাক্তন প্রেমিক প্রিন্স সিংয়ের খোঁজ শুরু করে তদন্তকারীরা। কিন্তু ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা ছিল সে। অবশেষে ঘটনার ১২ দিনের মাথায় শনিবার রাতে বজবজে মাসির বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তাকে। শনিবার রাতেই তাকে নিয়ে আসা হয় বেলঘড়িয়া থানায়। সেখানে রাতভোর জেরা করা হয় তাকে।
দীর্ঘক্ষণ জেরার পর চাপের মুখে ভেঙে পড়ে প্রিন্স। সে জানায়, প্রাক্তন প্রেমিকার সঙ্গে দেবাঞ্জনের মেলামেশা মানতে পারছিল না সে। সেই কারণেই খুনের ছক কষে। এরপর পরিকল্পনামাফিক বন্ধুর থেকে আগ্নেয়াস্ত্র নেয় প্রিন্স। নবমীর রাতে বান্ধবী তৃষাকে গাড়ি থেকে নামানোর পর দেবাঞ্জনের পিছু নেয় প্রিন্স। রাস্তায় দেবাঞ্জন ও প্রিন্সের মধ্যে বচসা বাধে। এরপরই দেবাঞ্জনকে খুন করা হয়। খুনের পর একাদশী পর্যন্ত ধৃত বিশালের ফ্ল্যাটেই গা ঢাকা দিয়েছিল প্রিন্স।বিপদ বুঝে তারপর ডেরা বদল করে। ধরা যেতে পারে এই আশঙ্কা করে পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে নিজের চেহারাও বদলে ফেলেছিল প্রিন্স। পালটে ফেলেছিল চুলের কাট। চশমা পরাও বন্ধ করে দিয়েছিল সে। কিন্তু এত কিছুর পরও শেষরক্ষা হল না। শুক্রবার রাতে খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে প্রিন্সের বন্ধু বিশাল মারুকে গ্রেপ্তারের পরই প্রকাশ্যে আসে প্রিন্সের অবস্থান। সূত্রের খবর, রবিবারই আদালতে তোলা হবে অভিযুক্তকে।
কিন্তু আর কে কে প্রিন্সের পরিকল্পনায় সঙ্গ দিয়েছিল? গোটা ঘটনায় প্রিন্সের প্রাক্তন প্রেমিকার ভূমিকাই বা কী? এখনও এসব একাধিক প্রশ্নের উত্তর এখনও হাতছাচ্ছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.