Advertisement
Advertisement
জিয়াগঞ্জ

৫ মিনিটে তিন খুন! জিয়াগঞ্জের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দিলেন পুলিশ সুপার

খুনের পর বোনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিল ধৃত উৎপল।

Prime accused in Murshidabad triple murder case arrested
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:October 15, 2019 2:21 pm
  • Updated:October 15, 2019 4:02 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অবশেষে জট কেটেছে। গ্রেপ্তার হয়েছে জিয়াগঞ্জ হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত উৎপল বেহরা। কিন্তু ঠিক কী হয়েছিল সেদিন? কোন আক্রোশে এই নৃশংস হত্যালীলা? কেনই বা রেহাই মিলল না শিশুটিরও? সাংবাদিক বৈঠকে গোটা ঘটনার বর্ণনা দিলেন মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার এস মুকেশ।

[আরও পড়ুন: ফের নাগরিকপঞ্জির আতঙ্ক, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে আলিপুরদুয়ারে মৃত্যু প্রৌঢ়ের]

শেষ ৬ দিন জিয়াগঞ্জ হত্যাকাণ্ডের কিনারা করতে মুর্শিদাবাদ থেকে রামপুরহাট দফায় দফায় তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ ও সিআইডি। সন্দেহভাজন একাধিককে আটক করে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। কিন্তু কিছুতেই রহস্যভেদ করতে না। সাত দিনের মাথায় অবশেষে রহস্যের জট খুলল। বিছানায় পড়ে থাকা বিমার কাগজ থেকে তদন্তকারীদের কাছে স্পষ্ট হয়েছিল উৎপল বেহরা নামে এক ব্যক্তির উপস্থিতি। এরপর সন্দেহভাজনদের দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদের পর স্পষ্ট আরও হয় ছবিটা। সোমবার রাতে তদন্তকারীরা নিশ্চিত হন যে, উৎপল বেহরাই খুনের সঙ্গে জড়িত। এরপর গভীর রাতেই গ্রেপ্তার করা হয় উৎপলকে। আটক করা হয়েছে তার বোনকেও।

Advertisement

অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের পর সংবাদিক বৈঠক করেন মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার এস মুকেশ। তিনি জানান, জেরায় খুনের কথা স্বীকার করেছে উৎপল। খুনের কারণ হিসেবে উঠেছে আর্থিক লেনদেনের বিষয়। জানা গিয়েছে, একাধিক বিমা সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন নিহত শিক্ষক। উৎপলও তাঁর কাছে বিমার টাকা দেয়। কিন্তু রশিদ চাইতেই জানতে পারে জমাই পড়েনি সেই টাকা। অভিযোগ, এরপর সেই টাকা ফেরত চাইলে অভিযুক্তকে গালিগালাজ করেন নিহত শিক্ষক। এই ক্ষোভেই খুনের ছক কষতে শুরু করে উৎপল। 

ধৃত জানিয়েছে, পরিকল্পনামাফিক নিহতের এলাকায় রেইকি করে সে। খুনের কয়েকদিন আগে সাহাপুর এলাকা থেকে ধারালো অস্ত্র কেনে উৎপল। পুজোর মধ্যেই সেটিকে বোনের বাড়িতে রেখেও আসে। এরপর দশমীর দিন সকালে বোনের বাড়ি থেকে অস্ত্র নিয়ে শিক্ষকের বাড়ির দিকে রওনা হয় সে। বন্ধুপ্রকাশ পালের সঙ্গে ফোনে কথা বলে তাঁর বাড়িতে হাজির হয়। টাকা চাইতেই ফের শুরু হয় বাকবিতণ্ডা। এরপরই ধারালো অস্ত্র দিয়ে শিক্ষককে খুন করে উৎপল। সেই সময় অভিযুক্তকে দেখে ফেলেছিলেন শিক্ষকের ছেলে ও স্ত্রী। সেই কারণেই খুন করা হয় তাঁদেরও।

[আরও পড়ুন: বনকর্মীদের তাড়া খেয়ে ঘুরে দাঁড়াল ক্ষিপ্ত দাঁতাল, হামলায় জখম পুরুলিয়ার ৮]

মাত্র ৫ মিনিটে ওই তিনজনকে খুন করেছিল উৎপল। এরপর যাতে ধরা না পড়ে, সেই কারণেই পোশাকও পালটে ফেলেছিল অভিযুক্ত। তারপর ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেয় সে। সেখান থেকে সোজা বোনের বাড়িতে চলে গিয়েছিল সে। কিন্তু এত সাবধানতা সত্ত্বেও শেষরক্ষা হল না। যদিও খুনের কথা অস্বীকার করেছে উৎপলের পরিবার। তাঁর মা-এর দাবি “তাঁদের ছেলে নির্দোষ”। ছেলেকে ফাঁসানো হচ্ছে বলেই অভিযোগ করছেন উৎপল বেহরার মা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement