ছবি: উদয়ন গুহরায়।
সুদীপ বন্দ্য়োপাধ্য়ায়, দুর্গাপুর: দুর্গাপুরের মিলনপল্লির একই পরিবারের চার সদস্যের দেহ উদ্ধারের ঘটনায় দানা বাঁধছে রহস্য। পরিবারের দাবি, নিছক আত্মহত্যা নয়, এটা পরিকল্পিত খুন। নেপথ্যে শিক্ষকতার অবৈধ চাকরি। পরিবারের সদস্যদের চাকরির প্রকৃত রহস্য জেনে ফেলার ফলেই কি সপরিবারে খুন হতে হল অমিত মণ্ডলকে? উঠে প্রশ্ন। যদিও এ প্রসঙ্গে পুলিশের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি।
এদিন সকালে দুর্গাপুরের কুরুড়িয়া ডাঙার মিলন পল্লিতে একই পরিবারের চার সদস্যের দেহ উদ্ধার হয়। দেখা যায়, পরিবারের কর্তা অমিত মণ্ডলের দুই হাত দেহের সঙ্গে গামছা দিয়ে বাঁধা। আর এই অমিতের হোয়াটস অ্যাপ মেসেজ, ফেসবুক পোস্ট ঘিরেই রহস্য় বেড়েছে। পাশাপাশি অমিতের মাসতুতো বোন সুদীপ্তা ঘোষের অভিযোগ, “এই ঘটনার পিছনে মদত রয়েছে অমিত ওরফে বুবাইয়ের মা বুলারানী মণ্ডল ও মামাতো ভাই সুশান্ত নায়েক ওরফে নান্টুর। দাদা জানতে পেরে যায় যে মামার বাড়ির পরিবারের বেশ কিছুজন ২০১২ সালে টেট পাস না করেও চাকরি পেয়েছিল। এমনই কথা দাদা আমাকে হোয়াটস অ্যাপ মারফত লিখে জানায়। তারপরই এদিন ভোরে এই ঘটনা।”
অমিত ছিলেন একজন জমি ব্যবসায়ী। তাঁর মামাতো ভাই সুশান্ত নায়েক ও প্রশান্ত নায়েকও জমি ব্যবসায়ী বলে ওই হোয়াটস অ্যাপ মেসেজে লিখেছিলেন অমিত। সেখানে তিনি অভিযোগ করেছিলেন, বিভিন্ন সময়ে সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে বেআইনিভাবে জমির লেনদেন করে বিপুল সম্পত্তি করেছেন প্রশান্ত ও সুশান্ত। সরকারি চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে কোটি-কোটি টাকা হাতিয়েছেন সুশান্ত নায়েক। ওই মেসেজে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ও সিবিআইয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করার কথাও লিখেছিলেন অমিত। এমনই দাবি বোন সুদীপ্তার।
সুদীপ্তাদেবীর আরও অভিযোগ, “দাদার হাত গামছা দিয়ে পিছমোড়া করে বাঁধা ছিল। বাড়ির সিসিটিভি কালো পলিথিন দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছিল। শনিবার রাতে বুলারানী মণ্ডল এই বাড়িতেই ছিলেন।” যিনি আবার নিজের ছেলে ও তাঁর পরিবারকে কখনও ভাল চোখে দেখতেন না বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। গোটা ঘটনায় দানা বেঁধেছে রহস্য।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.