অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: ২০০৯ থেকে ২০১৪। মাঝে কেটে গিয়েছে ১৪ বছর। এই দীর্ঘসময়ে রামচন্দ্রের বনবাস শেষ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে মিলল না প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি। শনিবার সেই চাকরি চাইতে গিয়ে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন এক চাকরিপ্রার্থী। পেটে কেরোসিন ঢুকে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। হাওড়া হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছে।
প্রাথমিক শিক্ষক পদের চাকরিপ্রার্থীদের নবান্ন অভিযানকে ঘিরে এদিন উত্তপ্ত হয় শিবপুর কাজিপাড়া। দুপুরে দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরিপ্রার্থীরা নবান্ন অভিযান করতে গেলে হাওড়ার শিবপুর কাজিপাড়ার কাছে নবান্নর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মীরা তাঁদের বাধা দেন। চাকরিপ্রার্থীরা জোর করে নবান্নের দিকে যেতে গেলে পুলিশ তাঁদের আটকায়। পুলিশের সঙ্গে তখন তাঁদের রীতিমতো বচসা ও ধস্তাধস্তি বেধে যায়।
এঁদের মধ্যে দেবাশিস বিশ্বাস নামে এক চাকরিপ্রার্থী গায়ে কেরোসিন ঢেলে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। পুলিশ তাঁকে আটকায়। কিছুটা কেরোসিন তিনি খেয়ে ফেলে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাওড়া জেলা হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। হাওড়া জেলা হাসপাতালেই শনিবার সন্ধে পর্যন্ত চিকিৎসাধীন ছিলেন দেবাশিসবাবু।
এদিন সুদীপ বাগ নামে নবান্নর দিকে যাওয়া এক বিক্ষোভকারী চাকরিপ্রার্থী বললেন, “২০০৯ সাল থেকে আমরা দক্ষিণ ২৪ পরগনার যোগ্যপ্রার্থীরা প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরির দাবিতে লড়াই করছি। ১৪ বছর কেটে গেলেও আমরা চাকরি পাইনি। রাজ্য সরকার আমাদের বঞ্চিত করেছে। আমাদের চাকরি দেওয়ার জন্য আদালতের রায় রয়েছে কিন্তু তা সত্ত্বেও রাজ্য সরকার আমাদের চাকরি দেয়নি।” সম্প্রতি দক্ষিণ ২৪ পরগনার এই চাকরিপ্রার্থীদের ১ হাজার ৮৩৪ জনের মধ্যে রাজ্য সরকার ১ হাজার ৫০৬ জনের একটি প্যানেল তৈরি করেছে। কিন্তু ৩২৮ জনের কোনও প্যানেল তৈরি করেনি। আমরা সেই ৩২৮ জন চাকরিপ্রার্থীই নবান্নে ডেপুটেশন দিতে এসেছিলেন। কিন্তু পুলিশ তাদের ওখান থেকে সরিয়ে দেয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.