সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: ‘মিড-ডে মিল চাই না, শিক্ষক চাই।’ পুরুলিয়ায় আন্দোলনে নেমেছে প্রাথমিকের পড়ুয়ারা। সোমবার সকালে স্কুলে গিয়ে ক্লাস বয়কট করে তারা। স্কুলের বাইরে চলে বিক্ষোভ। শেষপর্যন্ত প্ল্যাকার্ড হাতে সটান জেলাশাসকের দপ্তরের হাজির হয় পুরুলিয়া জেলা স্কুলের প্রাথমিক বিভাগের পড়ুয়ারা। বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য অতিরিক্ত জেলাশাসক(সাধারণ)-কে নির্দেশ দিয়েছে পুরুলিয়া জেলাশাসক রাহুল মজুমদার।
পুরুলিয়া জেলা স্কুলে পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পঠনপাঠন তো চলেই। প্রাথমিক বিভাগের পড়ুয়ার সংখ্যাও নেহাত কম নয়। নার্সারি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করে ৩৫৫ জন। কিন্তু স্কুলে পর্যাপ্ত শিক্ষক নেই। জানা গিয়েছে, পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে, স্রেফ শিক্ষক না থাকার কারণে গত বছর নার্সারি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত প্রতিটি ক্লাসের পড়ুয়াদের সপ্তাহে একদিন করে অতিরিক্ত ছুটি দেওয়া হয়েছিল। আর এবার দুটি শ্রেণির পড়ুয়াদের ক্লাস চলছে একসঙ্গে। পুরুলিয়া জেলা স্কুল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, নিয়মমাফিক প্রাথমিক বিভাগে ১২ জন শিক্ষক থাকার কথা। কিন্তু, বাস্তবে রয়েছেন মোটে চারজন। তাঁদের মধ্যে একজন আবার অন্য স্কুলের প্রধান শিক্ষকের পদে চাকরি পেয়ে গিয়েছেন। সেক্ষেত্রে তিনি যদি চলে যান, তাহলে শিক্ষক সংখ্যা কমে দাঁড়াবে তিন। বিষয়টি বহুবার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও লাভ হয়নি। শেষপর্যন্ত সোমবার শিক্ষকের দাবিতে আন্দোলনে নামলেন পুরুলিয়া জেলা স্কুলের প্রাথমিক বিভাগের পড়ুয়ারা।
সোমবার সকালে অভিভাবকদের হাত ধরে স্কুলে এসেছিল পড়ুয়ারা। কিন্তু, কেউ ক্লাস করেনি। জেলা স্কুলের গেটের বাইরে জমায়েত হয়ে বিক্ষোভ দেখায় তারা। এমনকী, পুরুলিয়া জেলা স্কুলের প্রাথমিক বিভাগের টিচার-ইন-চার্জ মারফৎ জেলা শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিকরা স্মারকলিপি দেয় খুদে পড়ুয়ারা। এরপরই সটান পুরুলিয়ার জেলাশাসকের দপ্তরের চলে যায় তারা। ঘটনার রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায় প্রশাসনিক মহলে। শুধু শিক্ষকের ঘাটতিই নয়, অতিরিক্ত জেলাশাসক(সাধারণ)-কে পুরুলিয়া জেলা স্কুলের পরিকাঠামোও খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছে জেলাশাসক রাহুল মজুমদার।
দেখুন ভিডিও:
ছবি ও ভিডিও: সুনীতা সিং
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.