Advertisement
Advertisement
বুদ্ধি

উপস্থিত বুদ্ধির জোরে অপহৃত স্বামীকে ফেরালেন স্ত্রী, ধরা পড়ল দুষ্কৃতীরাও

মুক্তিপণের ফাঁদে পা দিয়ে ধৃত অপহরণকারীরা৷

Presence of mind of wife brings back husband from the kidnappers
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:July 12, 2019 9:30 pm
  • Updated:July 12, 2019 9:30 pm  

দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: স্ত্রীর বুদ্ধিমত্তার জেরে উদ্ধার হলেন অপহৃত স্বামী৷ মালদা থেকে তাঁকে উদ্ধার করে বারুইপুর জেলা
পুলিশ। ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে ইতিমধ্যে দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের খোঁজে চলছে তল্লাশি। ধৃতদের শুক্রবার
বারুইপুর মহকুমা আদালতে পেশ করে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে৷ এরপর তাদের জেরা করে পুলিশ জানতে চাইছে তারা
কীভাবে, কোথায় কোথায় অপহরণের সঙ্গে যুক্ত ছিল।

[আরও পড়ুন: হুগলির জাঙ্গিপাড়ায় বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষ, পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি]

বারুইপুর জেলা পুলিশ সূত্রে খবর, সোনারপুরে সাহেব পাড়ার বাসিন্দা অশোক রায় মেট্রোর সুপারভাইজার পদে কর্মরত। তিনি এক বন্ধুর থেকে স্টোন কেনার জন্য মালদায় গিয়েছিলেন গত ৬ জুলাই রাতে। ৭ জুলাই বন্ধুকে ফোনে না পেয়ে তিনি বাজারে যাবেন বলে রওনা হন।
মূলত বাজারে গেছিলেন আম কেনার জন্য। আম কিনে তাঁর বাড়ি ফেরার কথা ছিল। অশোক রায়ের সঙ্গে ছিলেন তাঁর আরেক সহকর্মী
বিশ্বজিৎ ওঁরাও। আম কেনার জন্য তিনি একটি গাড়িতে উঠলে সেখান থেকে তাঁকে বাজারে না নিয়ে গিয়ে অন্যত্র চলে যাওয়া হয়। এবং গাড়ির মধ্যেই তাঁকে মারধর করে জিনিসপত্র কেড়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ৷ আরও অভিযোগ, অশোকবাবু গাড়ি থেকে নামতে চাইলে তাঁকে বন্দুকের বাঁট দিয়ে মারধর করা হয়। এরপর তাঁকে একটি মাঠে আটকে রাখা হয়৷

Advertisement

৭ তারিখের রাতে ১০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চেয়ে ফোন আসে অশোকবাবুর স্ত্রী অর্চনা রায়ের কাছে৷ অর্চনা দেবী বিষয়টিতে প্রথমে ঘাবড়ে গেলেও পরবর্তীতে সোনারপুর থানায় অভিযোগ জানান। এরপর সোনারপুর থানা ও বারুইপুর জেলা পুলিশ অফিসের কর্মীরা বিষয়টির তদন্তভার হাতে নেন। শুরু হয় তদন্ত৷ পুলিশের সাহায্যে অর্চনা দেবী অপহরণকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ১১ জুলাই পুলিশের সঙ্গেই মালদা রওনা হন অর্চনা দেবী। অপহরণকারীরা অর্চনা দেবীর কাছে যে টাকার দাবি করেছিল, তা দেওয়ার জন্য একটি নির্দিষ্ট জায়গায় তাঁকে যেতে বলেন কিডন্যাপাররা।

[আরও পড়ুন:জমি বন্ধক রেখে লক্ষাধিক টাকার কাটমানি ফেরত দুই তৃণমূল নেতার]

নির্দিষ্ট জায়গায় মুক্তিপণ নিতে গিয়েই পুলিশের হাতে ধরা পড়ে দুই অভিযুক্ত। ধৃতদের নাম ইশারা উদ্দিন শেখ ও বিল্লাল শেখ। তবে এই দলে আরও অনেকেই আছে বলে পুলিশের অনুমান৷ তাদের খোঁজে মালদা পুলিশের সাহায্য নিয়ে চলছে তল্লাশি। অশোক রায়কে উদ্ধার করা গেলেও আপাতত তাঁর বন্ধু বিশ্বজিৎ ওঁরাও পলাতক৷ তাঁর খোঁজ পাওয়ার চেষ্টা করছে পুলিশ। এ বিষয়ে জেলার পুলিশ সুপার রশিদ খান বলেন, ঘটনার তদন্ত করছে বারুইপুর জেলা পুলিশ। দু’জনকে গ্রেপ্তার করা গেছে বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement